তারপরেও দমে যাননি বরং রাত জেগে ভিডিওতে খুঁজেছেন তাদের দুর্বল জায়গা। শনিবার (১৮ নভেম্বর) ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসে সেই গল্পই শোনালেন মেহেদি।
তিনি বলেন, গত দুই দিন থেকেই শুনছিলেন এই ম্যাচ খেলবেন, তাই ঘুম আসছিল না। অনেক দিন পর তাও গেইল-ম্যাককালামের সামনে।
খেলায় ওদের দুর্বল জায়গাগুলো খুঁজতে রাতে ইউটিউবে ভিডিও দেখেন, কিন্তু মেহেদির কাছে দুর্বল জায়গাই চোখে পড়েনি। তিনি বলেন, ওরা তো সব ছয় চারই মারে। তারপরও আশা ছিল, আমি পারবো।
শেষ পর্যন্ত পেরেছেনও এই স্পিনার। রাত জেগে দেখা ভিডিওতে তিনি সফল একথা বলাই যায়। কেননা কুমিল্লার বোলিং ইনিংসের প্রথম ওভারেই বলতে গেলে মেহেদি শিকার বানিয়েছিলেন ক্রিস গেইল। কিন্তু আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে বঞ্চিত হন এই অফস্পিনার। এরপরের ওভারেই আবার ম্যাককালামের ওপর তোপ চালিয়েছিলেন। কিন্তু অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন ম্যাককালাম। তবে ছেড়ে দেননি সেই ম্যাককালামকে ঠিকেই বোকা বানিয়ে ফিরিয়েছেন প্যাভিলনে(১৩ রান)।
মেহেদির দ্বিতীয় উইকেটি ছিল শাহরিয়ার নাফিসেরটি। তার স্পিন যাদুতে রানের খাতা না খুলেই বোল্ড হয়ে ০ রানে নিজের ইনিংসের ফুলস্টপ টানতে হয়েছে নাফিসকে।
মেহেদির বয়স খুব বেশি নয়, মাত্র ২২। বিপিএলে অভিজ্ঞতার ঝুলিও তেমন সমৃদ্ধ নয়। বরিশাল বুলসের হয়ে গত আসরে এই স্পিনার দুই ম্যাচে বল করেছেন মাত্র ১ ওভার।
তারপরেও হাজার হাজার দর্শকের সামনে কী দারুণ আত্নবিশ্বাস নিয়েই না খেললেন এই তরুণ! কোনো ভয় ডর ছাড়া খেলে জিতলেন ম্যাচ সেরার মুকুটও। তাই সংবাদ সম্মেলনে এসে দারণ উচ্ছ্বসিত এই ভিক্টোরিয়ানস অফস্পিনার।
তিনি বলেন, এতো দর্শকের মাঝে খেললে একটু নার্ভাস হয়ই। পরে একটা দুইটা বল করার পর সব ঠিক হয়ে গেছে। আসলে টি-টুয়েন্টিতে আমি উইকেটের আশা করিনি, ৪ ওভারে ২০ রান দিলেই খুশি।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে ৪ ওভার বল করে ১৫ রানে ২ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন মেহিদ হাসান।
বাংলাদেশ সময়: ০১১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৭
এইচএল/এসআইএস