অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের দায়ে তাসকিন আহমেদ ও আরাফাত সানি নিষিদ্ধ হওয়ায় তাদের বিকল্প হিসেবে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা চেয়েছিলেন ইমরুল কায়েস ও আব্দুর রাজ্জাককে। কিন্তু হাথুরুসিংহে তার সেই চাওয়া উপেক্ষা করে বিকল্প হিসেবে নিলেন শুভাগত হোম ও সাকলাইন সজিবকে।
এরপর এরকম অসংখ্য ঘটনা ঘটেছে যা আড়ালে থেকে গেছে। তবে শ্রীলঙ্কান কোচের সঙ্গে সিনিয়রদের বিরোধের বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে বাংলাদেশের সদ্য সমাপ্ত দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে। যেখানে টেস্ট সিরিজে টসের সিদ্ধান্ত থেকে শুরু করে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম কোথায় ফিল্ডিং করবেন সেই বিষয়টিও তিনি নির্ধারণ করতেন। কোচের অযাচিত এসব সিদ্ধান্ত সংবাদ মাধ্যমের সামনে আনেন মুশফিক।
তার আগে গেল মার্চে শ্রীলঙ্কা সফরে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে বসিয়ে রেখে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ না খেলিয়েই তাকে দেশে পাঠিয়ে দিতে চেয়েছিলেন হাথুরু। যা দলের বাকি সিনিয়রদের ভেতরে অসন্তোষের সৃষ্টি করে।
অথচ সেই রিয়াদই বললেন, ‘কোচের সঙ্গে নাকি দলের সিনিয়রদের কোন বিরোধ ছিলো না। সিনিয়র প্লেয়ারদের সাথে ওনার সম্পর্ক ভালো ছিল না কথাটির সাথে আমি একমত নই। সম্পর্ক সবসময় ভালো ছিল। আমরা পরিবারের মতো ছিলাম। অনেক সময় অনেক কিছুই শোনা যায়; এগুলোতে কান না দিয়ে ক্রিকেটের জন্য যেটা ভালো সবসময় উনি সেই চেষ্টা করে এসেছেন। ’
এখানেই থামেননি টাইগার ব্যাটিং অলরাউন্ডার। বলেছেন তার উন্নতির পেছনে কোচের অনেক ভূমিকা ছিল এবং তাকে তিনি মিসও করবেন! ‘আমার উন্নতির পেছনে তার বেশ অবদান ছিল। অবশ্যই ওনাকে মিস করবো। ’
সোমবার (২০ নভেম্বর) রাজধানী স্থানীয় একটি হোটেল ইউএসএইড’র শুভেচ্ছাদূতের দায়িত্ব গ্রহণ শেষে সংবাদ মাধ্যমকে এসব কথা বলেন মাহমুদউল্লাহ।
উল্লেখ্য, হেড কোচের দায়িত্ব থেকে সরে যেতে ইতোমধ্যেই বিসিবি বরাবর পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন হাথুরুসিংহে। তবে বিসি (বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড) এখনও তা গ্রহণ করেনি। কিন্তু হাথুরু থাকছেনই না বিষয়টি অনুধাবনপূর্বক কোচ খুঁজতে শুরু করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, ২০ নভেম্বর, ২০১৭
এইচএল/এমআরএম