জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অর্ধশতকে ভর করে মাশরাফির রংপুরকে ১৫৯ রানের টার্গেট দেয় টাইটান্স। জবাবে, ৬ উইকেট হারানো রংপুরের ইনিংস থামে ১৪৯ রানের মাথায়।
এবারের আসরে প্রথমবার একে অপরকে মোকাবিলা করে রংপুর ও খুলনা। শুক্রবারের (২৪ নভেম্বর) হাইভোল্টেজ ম্যাচটিতে টস জিতে প্রতিপক্ষকে ব্যাটিংয়ে পাঠান রাইডার্স দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে রিলে রুশোকে (১১) বোল্ড করে ব্রেকথ্রু এনে দেন অফস্পিনার সোহাগ গাজী। পরের ওভারে তরুণ আফিফ হোসেনের (৯) স্ট্যাম্প ভাঙেন রুবেল হোসেন। ২৪ রানে দুই উইকেট হারিয়ে চাপের মুখে পড়ে খুলনা।
দলীয় অর্ধশতকের আগে সাজঘরে ফেরেন উদীয়মান ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত (২০)। ১৩তম ওভারে ক্যারিবীয় উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান নিকোলাস পুরানের (১৬) বিদায়ে স্কোর দাঁড়ায় চার উইকেটে ৯২। ব্যাট হাতে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন মাহমুদউল্লাহ। ৬টি চার ও ২ ছক্কায় তার ৫৯ রানের (৩৬ বল) ইনিংসে লড়াকু স্কোরের ভিত পায় খুলনা। ১৭তম ওভারে রুবেল হোসেনকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হন তিনি। পা বাউন্ডারি লাইন স্পর্শ করার আগমুহূর্তে হাত থেকে বল শূন্যে ছোঁড়েন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। পেছনে থাকা নাহিদুল ইসলাম সহজেই তালুবন্দি করেন। নিজের শেষ ওভারটির শেষ বলে খুলনার আগের ম্যাচের নায়ক আরিফুল হককে (১৬) এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন পেসার রুবেল। কার্লোস ব্রাথওয়েটকে (১১) সাজঘরে পাঠান থিসারা পেরেরা। শেষ পর্যন্ত দলীয় স্কোর দাঁড়ায় আট উইকেটে ১৫৮।
চার ওভারে ৩৫ রান খরচায় তিনটি উইকেট শিকার করেন রুবেল হোসেন। লাসিথ মালিঙ্গার দখলে ২৩ রানে দুই উইকেট। একটি করে নেন মাশরাফি বিন মর্তুজা, সোহাগ গাজী ও থিসারা পেরেরা।
১৫৯ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ২০ রানের মাথায় রংপুরের দুই ওপেনার ক্রিস গেইল আর ব্রেন্ডন ম্যাককালাম বিদায় নেন। ম্যাককালাম ব্যক্তিগত ২ রানে সাজঘরে ফেরেন। আর ৯ বলে দুটি চার আর একটি ছক্কায় গেইল করেন ১৬ রান। তিন নম্বরে নামা মোহাম্মদ মিঠুন করেন ৩ রান। মাঝে ফজলে মাহমুদের ব্যাট থেকে আসে ৬ রান।
এরপর রংপুরের হাল ধরেন নাহিদুল ইসলাম আর রবি বোপারা। এই জুটি থেকে আসে ১০০ রান। শেষ ওভারে রংপুরের দরকার ছিল ১৫ রানের। দ্বিতীয় বলে রান আউট হন নাহিদুল। বিদায়ের আগে ৪৩ বলে সাতটি চারের সাহায্যে তিনি করেন ৫৮ রান। রবি বোপারা ৪৪ বলে চারটি চার আর একটি ছক্কায় ৫৯ রান করে ইনিংসের শেষ বলে আউট হন।
খুলনার তরুণ তারকা আফিফ হোসেন প্রথম দুই ওভারে দুই রান দিয়ে তুলে নেন দুটি উইকেট। এরপর আর বোলিংয়ে আসেননি। ৪ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে আবু জায়েদ তুলে নেন একটি উইকেট। জুনাইদ খান ৪ ওভারে ২০ রানের বিনিময়ে নেন একটি উইকেট। জোফরা আরচার, কার্লোস ব্রাথওয়েইট আর তানভীর ইসলাম কোনো উইকেট পাননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, ২৪ নভেম্বর, ২০১৭
এমআরপি