ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

সাকিব-মুশফিকদের সাথে তুষারের কঠিন চ্যালেঞ্জ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৮
সাকিব-মুশফিকদের সাথে তুষারের কঠিন চ্যালেঞ্জ তুষার ইমরান-ছবি: শোয়েব মিথুন-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

৩৪ বছর বয়সেও লঙ্গার ভার্সনের ক্রিকেটের অসাধারণ খেলে যাচ্ছেন তুষার ইমরান। ব্যাট হাতে দাপুটে এক একটি ইনিংসে ইতোমধ্যে ঘরোয়া ক্রিকেটে রান মেশিনের তকমা জিতেছেন। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অতিক্রম করেছেন ১০ হাজার রানের মাইলফলক। ফলে জাতীয় দলে ফেরার আশা তিনি করেতেই পারেন।

কিন্তু ফেরাটা কী অতই সহজ? বাস্তবতা বেশ ভাল করেই জানেন এই দক্ষিণাঞ্চলের টপ অর্ডার। কেননা এই মুহূর্তে টেস্ট দলে যেসব তরুণ ক্রিকেটাররা খেলছেন তারা সবাই প্রমাণিত এবং তা নিজ নিজ পারফরম্যান্স দেখিয়ে তবেই জাতীয় দলে নিজেদের জায়গাটি পাকাপোক্ত করেছেন।

তাদের সমন্বয়ে দলটি বেশ শক্তিশালীও হয়ে উঠেছে। সাদা পোশাকে জাতীয় দলে ফিরতে সেই পরীক্ষিত পারফর্মারদের টপকাতে হবে। কাজটি সহজ নয়।

সেই সত্যাটি রোববার (১৫ এপ্রিল) মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট একাডেমির মাঠে অকপটে স্বীকার করলেন তিনি। ‘এখন যে দলটা খেলছে বাংলাদেশের হয়ে, ভেরি ডিফিকাল্ট এদের বিট করা। অনেক দিন ধরেই এক সাথে খেলে যাচ্ছে। আমি আমার মতোই চেষ্টা করছি কাউকে বিট করা যায় কি না। লাইক আমি যে পজিশনে ব্যাট করি সে পজিশনে মুশফিক আছে, রিয়াদ আছে, সাকিব আছে, তারপর মুমিনুল আছে। এরা তো জাতীয় দলের হয়ে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করে যাচ্ছে। আমি হয়তো ঘরোয়া ক্রিকেটে করে যাচ্ছি। আমাকে নিয়ে যদি চিন্তা ভাবনা করে আমি ওই ভাবেই চেষ্টা করে যাচ্ছি ১০০% দেওয়ার জন্য। ’

‘আমি যে জায়গায় ব্যাট করি সে জায়গাটা আসলে অনেক কঠিন। ওদেরকে বিট করতে হলে হয়তোবা আরও অনেক বেশি রান করতে হবে। আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি। আর প্রমাণের একটাই জায়গা ঘরোয়া ক্রিকেটে। আমি এখানে সুযোগ পাচ্ছি, ভালো করে যাচ্ছি, ইনশাল্লাহ সামনেও করবো। যদি নির্বাচকরা মনে করে এটা এনাফ আমাকে নিতে চায় আমি প্রস্তুত আছি। ’-যোগ করেন তুষার।

টেস্ট ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ২০০২ সালের কলম্বোতে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে অভিষিক্ত তুষার ইমরান ৫ ম্যাচ খেলে সংগ্রহ করেছেন ৮৯ রান। তার সবশেষ ম্যাচটি ছিল ২০০৭ সালের জুলাইয়ে ক্যান্ডিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।

আর ওয়ানডে ক্রিকেটে তার শুরুটা হয়েছিল ২০০১ সালে চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে। ৪১ টি ম্যাচ খেলে সংগ্রহ করেছেন ৫৭৪ রান। রঙিন পোশাকে তার সবশেষ ম্যাচটি ছিল ২০০৭ সালে কুইন্সটাউনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৭ ঘণ্টা, ১৫ এপ্রিল, ২০১৮
এইচএল/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।