অন্য ব্যাটসম্যান মেহেদি হাসান মিরাজ ৩৪ বলে ২টি চারে ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ হন বাংলাদেশের দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস ও লিটন দাশ।
প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান মুমিনুল হকও টিকতে পারেননি। ট্রিপানোর বলে ফেরেন তিনি। আর ডাবল সেঞ্চুরিয়ান মুশফিকুর রহিম ব্যক্তিগত ৭ রানে ডোনাল্ড ট্রিপানোর বলে বিদায় নেন।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ২৫ রানে চার টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানকে হারায় বাংলাদেশ। তবে মোহাম্মদ মিঠুন ও মাহমুদউল্লাহর ব্যাটিংয়ে ঘুরে দাঁড়ায় টাইগাররা। দীর্ঘ ১০ ইনিংস পর ফিফটির দেখা পান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
অভিষেক টেস্টে হাফসেঞ্চুরির দেখা পান মোহাম্মদ মিঠুন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৯০ বলে ৪টি চারের সাহায্যে পঞ্চাশ করেন তিনি। যদিও প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন তিনি। পরে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাফসেঞ্চুরির পর সিকান্দার রাজার বলে ফেরেন মিঠুন (৬৭)। এই জুটি থেকে ১১৮ রান আসে।
আরিফুল হক অবশ্য ক্রিজে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। ব্যক্তিগত ৫ রানে শেন উইলিয়ামসের বলে বোল্ড হন তিনি।
এর আগে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ দিন জিম্বাবুয়েকে দ্বিতীয় ইনিংসে ফলোঅন না করিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। যদিও তৃতীয় দিনের শেষে জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংস শেষ হলে ধারণা করা হয়েছিল সফরকারীদের ফের ব্যাটিং করাবে টাইগাররা।
বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ইনিংসে মুশফিকুর রহিমের রেকর্ড গড়া ডাবল সেঞ্চুরি (২১৯) ও মুমিনুল হকের সেঞ্চুরিতে (১৬১) ৭ উইকেট হারানোর পর ৫২২ রানের বড় সংগ্রহের পর ইনিংস ঘোষণা করে।
জবাবে ব্র্যান্ডন টেইলরের সেঞ্চুরি (১১০) স্বত্ত্বেও ৩০৪ রানে থামে জিম্বাবুয়ে। ফলে ২১৮ রানে প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে থাকে হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ও তার দল।
বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে টানা ৩ ইনিংসে পাঁচ বা তার বেশি উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন স্পিনার তাইজুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, ১৪ নভেম্বর, ২০১৮
এমএমএস