বুধবার (১৪ নভেম্বর) দিন শেষে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের সম্মেলন কক্ষে এসে একথা জানান।
মিরাজ বলেন, এখন পর্যন্ত ম্যাচটা আমাদের দিকেই আছে।
সেদিন ডাবল সেঞ্চুরির পর সংবাদ মাধ্যমে সামনে এসে উইকেটের অপর প্রান্তের সঙ্গী হিসেবে মেহেদি হাসান মিরাজের ভূয়সী প্রশংসা করে মুশফিকুর রহিম বলেছিলেন, ‘ওর মতো একজন খেলোয়াড় মাঠে থাকা সবসময়ই উপভোগ্য। এবং আমি ওর সঙ্গে ব্যাটিং দারুণ উপভোগ করি। ’
মুশফিক যখন ২শ রানের পথে তখন তাকে প্রেরণা যুগানোর পাশাপাশি অভয়ও দিয়েছেন ক্রিজের অপর প্রান্তে থাকা তার জুনিয়র অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ। যেটা সাধারণত সিনিয়ররা জুনিয়রদের দিয়ে থাকে। ৮ম উইকেটে তাদের দুজনের ব্যাট থেকে এসেছিল ১৪৪ রান। যা বাংলাদেশকেও প্রথম ইনিংসে ৫২২ রানের সমৃদ্ধ সংগ্রহ এনে দিয়েছিল।
আজও রিয়াদের ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরির পথে তাকে সঙ্গ দিয়ে শতরান পূরণে সহায়তা করেছেন। এই সিরিজের আগেও এমন সঙ্গ একাধিকবার তিনি মুশফিককে দিয়েছেন। এমন ঘটনার পর প্রশ্ন তো উঠতেই পারে, যার সঙ্গ পেয়ে মুশফিক, রিয়াদরা ডাবল সেঞ্চুরি, সেঞ্চুরি করেন তিনি কবে করবেন?
না, সেই চিন্তায় এখনই নাওয়া-খাওয়া বন্ধ করে দেননি এই টাইগার অলরাউন্ডার। বরং আগামীর জন্য অপেক্ষা করছেন। তার কাছে সবার আগে দল।
‘দল সবার আগে, আমরা দলের জন্যই খেলি। তবে আমার কাছে খুবই ভালো লাগছে, আমি একজনের ডাবল সেঞ্চুরিতে সঙ্গী ছিলাম, একজনের সেঞ্চুরিতে ছিলাম। আমার মনে অনেক খুশি লাগছে। আমি এটা কখনই চিন্তা করিনি যে আমার সেঞ্চুরি হয়নি। ভবিষ্যতে হয়তো হবে। ’
বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা নিয়ে অনেকের মধ্যেই একটি প্রশ্নের উঁকি দিয়েছে। আর সেটা হলো, কেন দলীয় ৪শ রানে ইনিংষ ঘোষণা করা হলো না? আরও ৪২ পর্যন্ত অপেক্ষার কী মানে? তাদের জন্য মিরাজের উত্তর হলো, ‘আমাদের প্রথম চিন্তা ছিল সেইফ থাকা। প্রথমে আমাদের সেইফ জোনে যেতে হবে। আমাদের দ্রুত কিছু উইকেটের পতন ঘটেছে। আমরা কিন্ত তখন ব্যাকফুটে ছিলাম। রিয়াদ ভাই ও মিথুন ভাই একটা ভালো জুটি গড়েছে বলে আমাদের রানটা বেড়ে গেছে। '
'আমাদের চিন্তা ছিল ৪০০ প্লাস রান করার। ৪০০ প্লাস করতে পারলে আমরা অন্তত সেইফ থাকব। আমরা যদি ওদের চার সেশন বা আরেকটু বেশি দিতে পারি, তাহলেই হয়ে যাবে। আমরা যেমন পরিকল্পনা করছিলাম সেই অনুযায়ী ভালোই হয়েছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৮
এইচএল/এমএইচএম