২০১৫ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয় রশিদ খানের। সেই থেকে দুই ফরম্যাটেই আফগানিস্তান দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন এই লেগ স্পিন জাদুকর।
ধারাবাহিক উইকেট শিকারে রশিদের তুলনা খুব কমই আছে। মাত্র ৩ টেস্টের ক্যারিয়ারেই ২০টি উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন তিনি। ওয়ানডেতে ১৩১টি আর টি-টোয়েন্টিতে তার উইকেট ৭৯টি।
চলতি বছরের এপ্রিলে আফগানদের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে ঘোষিত হয় রশিদের নাম। এরপর ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ শেষে তিন ফরম্যাটের নেতৃত্বই তার কাঁধে তুলে দেওয়া হয়।
টেস্ট নেতৃত্বের শুরুতে রশিদ বাংলাদেশের মাটিতে খেলতে নেমেছিলেন অধিনায়ক হিসেবে। আর প্রথমবারেই বাজিমাত করেছেন। ২২৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছেন টেস্ট ক্রিকেটে অভিজ্ঞতার হিসেবে অনেক এগিয়ে থাকা বাংলাদেশকে। ওই ম্যাচে ১১ উইকেট তুলে নেওয়ার পাশাপাশি প্রথম ইনিংসে ফিফটিও করেছিলেন রশিদ।
রশিদের আসল জাদু অবশ্য টি-টোয়েন্টিতেই বেশি দেখা গেছে। দুর্দান্ত দুসরা তার বোলিংয়ের সবচেয়ে বড় শক্তি। আর সঠিক লাইন আর টাইট লেন্থের কারণে নিয়মিত উইকেট তুলে নেওয়ার সামর্থ্যের কারণে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে তাকে নিয়ে রীতিমত কাড়াকাড়ি পড়ে যায়।
আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের নিয়মিত মুখ রশিদ খান। এছাড়া আফগান প্রিমিয়ার লিগ, বাংলাদেশের প্রিমিয়ার লিগ, বিগ ব্যাশ লিগ, টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট, ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের মতো শীর্ষ ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেও অংশ নিতে দেখা যায় তাকে।
রশিদ খান বর্তমানে আফগান দলের সঙ্গে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। এরইমধ্যে সিরিজের ফাইনালেও পা রেখেছে তার দল। স্বাগতিক বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়েকে দুই ম্যাচেই সহজেই হারিয়েছে রশিদবাহিনী।
নিজের জন্মদিনে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামবেন রশিদ খান। জন্মদিনটা নিশ্চয়ই জয় দিয়েই উদযাপন করতে চাইবেন আধুনিক ক্রিকেটের অন্যতম সেরা এই স্পিনার।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯
এমএইচএম