রোববার (০৬ অক্টোবর) বিশাখাপত্তমে পঞ্চম দিনের খেলায় মাঠে নামে দু’দল। তবে শেষ দিনে ৫৪ ওভারের মতো খেলে ৯টি উইকেট হারায় দ.আফ্রিকা।
তবুও প্রোটিয়াদের মান কিছুটা হলেও রক্ষা করেছেন শেষ দিকের দুই ব্যাটসম্যান সেনুরান মুথুসামি ও ড্যান পিট। দলীয় ৭০ রানে ৮ উইকেট হারালে লজ্জার হারের শঙ্কা জেগেছিল। সেখান থেকে নবম উইকেট জুটিতে ৯১ রান করেন এই দু’জন। তবে ভারতীয় পেসার শামির দাপটে আর টিকতে পারলেন না পিট। ক্যারিয়ারের প্রথম হাফসেঞ্চুরি (৫৬) করে শামির বলে বিদায় নেন এই দশ নাম্বারে নামা ব্যাটসম্যান। মুথুসামি ৪৯ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে শামি-জাদেজার পেস-স্পিন মিশেলে দিশেহারা হয়ে পড়ে প্রোটিয়াদের টপঅর্ডারের ব্যাটিং লাইনআপ। প্রথম ইনিংসের ডিন এলগার জাদেজার বলে ও কুইন্টন ডি কক শামির বলে বিদায় নেন যথাক্রমে ২ ও ০ রানে। কেবল ওপেনার এইডেন মার্করামের ৩৯ ছাড়া আর কেউই বলার মতো স্কোর করতে পারেননি।
টেস্ট ক্যারিয়ারে চতুর্থবারের মতো পাঁচ উইকেট তুলে নেন শামি। ৪ উইকেট দখল করেন জাদেজা। অপর একটি উইকেট পান প্রথম ইনিংস ৭ উইকেট পাওয়া রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
ভারত নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট হারিয়ে ৫০২ রানে ইনিংস ঘোষণা করে। জবাবে দ.আফ্রিকা ৪৩১ রানে প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়। পরে ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩২৩ রান করে ঘোষণা করে। ভারতের হয়ে দুই ইনিংসেই প্রথমবারের মতো ওপেন করতে নেমে জোড়া সেঞ্চুরি করেন রোহিত শর্মা।
ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরিতে কয়েকটি রেকর্ড গড়েছেন রোহিত। ঘরের মাটিতে টেস্টে ৭টি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলে তিনি ভেঙে দিয়েছেন রাহুল দ্রাবিড়ের রেকর্ড। ১৯৯৭-৯৮ সালে ঘরের মাটিতে ৬টি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলেছিলেন দ্রাবিড়।
এছাড়া টেস্ট ইতিহাসে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ওপেনিংয়ে নেমে পরপর দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছেন রোহিত। ভারতের হয়ে ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি করে তিনি জায়গা করে নিয়েছেন একটি এলিট তালিকায়। তার আগে টিম ইন্ডিয়ার জার্সিতে টেস্টে ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি করেছিলেন বিজয় হাজারে, সুনীল গাভাস্কার, রাহুল দ্রাবিড়, বিরাট কোহলি ও আজিঙ্কা রাহানে।
ভারতের হয়ে এক টেস্টে ১৩টি ছ্ক্কা মেরে তিনি ভেঙে দিয়েছেন সাবেক তারকা নভোজিৎ সিধুর রেকর্ড। আগে এক টেস্টে সর্বোচ্চ ৮টি ছ্ক্কা মেরেছিলেন সিধু।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৯
এমএমএস