এর আগে ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংলিশরা ৮ উইকেট হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিল ২৩০ রান। এছাড়া, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচে প্রতিপক্ষরা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তুললো।
ইংলিশদের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি করেছেন মরগান, আর মালান করেছেন দ্রুততম সেঞ্চুরি। ২১ বলে ফিফটির দেখা পান মরগান। ৩১ বলে ফিফটি করার পর ৪৮ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন মালান। ৪১ বলে সাতটি ছক্কা আর সাতটি চারের সাহায্যে মরগান করেন ৯১ রান। আর ৫১ বলে ৯টি চার আর ৬টি ছক্কায় মালান অপরাজিত থাকেন ১০৩ রানে।
এই জুটিতে আসে ১৮২ রান। যা টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে চতুর্থ সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড। ইংলিশদের যেকোনো জুটিতে এটিই সর্বোচ্চ জুটি। এর আগে ২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে রবি বোপারা-অ্যালেক্স হেলস জুটিতে এসেছিল ১৫৯ রান।
মালান দ্বিতীয় কোনো ইংলিশ ব্যাটসম্যান হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি হাঁকালেন। ২০১৪ বিশ্বকাপে অ্যালেক্স হেলস শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন। হেলসের সেঞ্চুরি পেতে লেগেছিল ৬০ বল, মালান পেয়েছেন ৪৮ বলে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এটি দ্রুততম দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। রিচার্ড লেভি ৪৫ বলে কিউইদের বিপক্ষে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন।
শেষ ৪ ওভারে ইংল্যান্ড তুলেছে ৭৬ রান। যেকোনো দলের জন্য এটিই সর্বোচ্চ রান তোলার রেকর্ড। ২০১৭ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আফগানিস্তান শেষ ৪ ওভারে তুলেছিল ৭৫ রান। ১৭তম ওভারে আজ ইংলিশরা তুলেছে ২৮ রান, ১৮তম ওভারে ১৫, ১৯তম ওভারে ২৫ আর শেষ ওভারে তুলেছে ৮ রান।
সবশেষ ৯ ইনিংসে মালান ৫৭.২৫ গড়ে করলেন ৪৫৮ রান। টি-টোয়েন্টির ক্যারিয়ারে স্পর্শ করেন চতুর্থ সেঞ্চুরি। ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তার থেকে সেঞ্চুরি বেশি আছে লুক রাইটের (সাতটি)। জো ডেনলি আর জেসন রয় চারটি করে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন।
১০ বছর আগে মরগান দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জোহানেসবার্গে করেছিলেন ৮৫ রান। ১০ বছর পর আজ খেললেন ৯১ রানের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। যেকোনো টি-টোয়েন্টিতে তার ছিল ৯০ রানের সর্বোচ্চ ইনিংস। ইংলিশ ব্যাটসম্যান হিসেবে ইনিংসে সর্বোচ্চ সাতটি ছক্কা হাঁকালেন মরগান। টি-টোয়েন্টি এক ইনিংসে সাতটি ছক্কা এর আগে আরও দুবার মেরেছিলেন মরগান।
শেষ ১০ ওভারে ইংলিশরা তুলেছে ১৫৩ রান। যা টি-টোয়েন্টিতে তৃতীয় সর্বোচ্চ। মরগান-মালান জুটির তাণ্ডবে রেকর্ড গড়া ইনিংসে টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডও তাদের সর্বোচ্চ স্কোর করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৯
এমআরপি