নাগপুরের বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ-ভারত। ম্যাচটি শুরু হয় বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যে সাড়ে সাতটায়।
নিজের প্রথম ওভার করতে এসে তৃতীয় বলেই ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মার (২) স্টাম্প উপড়ে ফেলেন পেসার শফিউল ইসলাম। এর আগে টিম ইন্ডিয়ার বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচেও রোহিতকে সাজঘরে ফিরিয়েছিলেন তিনি। এরপর ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগে আরেক ওপেনার শিখর ধাওয়ানকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান শফিউল। দলীয় ৩৫ রানে ও ব্যক্তিগত ১৯ রানে ছ্ক্কা হাঁকাতে গিয়ে ধাওয়ান বন্দী হোন মাহমুদউল্লাহর হাতে।
শুরুতে দুই ওপেনারকে হারালেও রানের গতি সচল রাখেন লোকেশ রাহুল ও শ্রেয়াস আয়ার। দু’জনের ৫৯ রানের জুটি ভাঙেন আল আমিন হোসেন। ৫২ রানে সাজঘরে ফেরেন রাহুল। তবে শফিউলের বলে ব্যক্তিগত ১ রানে জীবন পাওয়া শ্রেয়াস এর পরপরই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন। আমিনুল ইসলামের ক্যাচ ছাড়ার প্রতিদান দিতে হয় টাইগারদের।
তবে বাংলাদেশকে সেই অবস্থায় রক্ষা করেন সৌম্য সরকার। নিজের তৃতীয় ওভার করতে এসে প্রথম বলে ঋষভ পান্তকে (৬) বোল্ড করার পর পঞ্চম বলে শ্রেয়াসকে ফেরান তিনি। শ্রেয়াসের ৩৩ বলে ৬২ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৩ চার ও ৫ ছক্কায়। শেষদিকে মনীষ পান্ডের ১৩ বলে ২২ এবং শিভম দুবের ৯ রানের সুবাদে ১৭৪ রান সংগ্রহ করে ভারত।
ইতিহাস হাতছানি দিচ্ছে বাংলাদেশকে। ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচটি জিতলে ইতিহাস গড়বে টাইগাররা। ভারতের মাটিতে এখন পযর্ন্ত কোনো দল তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিততে পারেনি। ২০১২ সালে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হেরেছিল টিম ইন্ডিয়া। ২০১৫ সালে ভারতের মাটিতে ইতিহাস গড়ার দিকে এগিয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু প্রথম দুই ম্যাচ জিতলেও শেষ টি-টোয়েন্টিটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হওয়ায় সেই ইতিহাস আর গড়া হয়নি প্রোটিয়াদের।
এবার সুযোগ আছে বাংলাদেশের। টাইগারদের ইতিহাস গড়ার জন্য দরকার শেষ ম্যাচে জয়। এর আগে সিরিজের প্রথম ম্যাচে দিল্লীতে ৭ উইকেটের ঐতিহাসিক জয় পায় রাসেল ডমিঙ্গোর দল। বাংলাদেশ কখনো এর আগে ভারতের মাটিতে ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটের কোনো ম্যাচে জিততে পারেনি। তবে রাজকোটে দ্বিতীয় ম্যাচে ৮ উইকেটে জিতে সমতায় ফিরে ভারত। এবার সিরিজ নির্ধারণীর পালা।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৯
ইউবি