ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

নাঈমের ফিফটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৯
নাঈমের ফিফটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ মোহাম্মদ নাঈম

খাদের কিনারা থেকে দলকে টেনে তোলার পথে দুর্দান্ত ফিফটি হাঁকিয়েছেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম ফিফটি তুলে নেওয়ার পথে ৩৪ বল খেলেছেন এই বাঁহাতি ওপেনার। ফিফটির ইনিংসটি ৭ চার ও ১ ছক্কায় সাজানো। সঙ্গী মোহাম্মদ মিঠুনও দারুণ সঙ্গ দিচ্ছেন তাকে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ১২ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ১০৬ রান। ৩৯ বলে ৭০ রানে অপরাজিত আছেন নাঈম। ২৪ বলে ২৬ রান নিয়ে সঙ্গ দিচ্ছেন মিঠুন। 

এর আগে ভারতের বিপক্ষে তিন টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে ১৭৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। দলীয় ১২ রানের মধ্যে সাজঘরে ফিরে যান ওপেনার লিটন দাস ও সৌম্য সরকার।

দীপক চাহারের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ওয়াশিংটন সুন্দরের হাতে ধরা পড়েন লিটন (৯)।

এর পরের বলে সৌম্যকে গোল্ডেন ডাক উপহার দিয়ে হ্যাটট্রিকের আশা জাগিয়ে তুলেন চাহার। তবে মোহাম্মদ মিঠুন সেই সুযোগ দেননি। এরপর মিঠুন ও নাঈমের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ।

এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শ্রেয়াস আয়ার ও লোকেশ রাহুলের ফিফটিতে নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান সংগ্রহ করে ভারত।  

রোববার (১০ নভেম্বর) নাগপুরের বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ-ভারত। ম্যাচটি শুরু হয় বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যে সাড়ে সাতটায়। টসে জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে শুরুটা দুর্দান্ত করে বাংলাদেশ।  

নিজের প্রথম ওভার করতে এসে তৃতীয় বলেই ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মার (২) স্টাম্প উপড়ে ফেলেন পেসার শফিউল ইসলাম। এর আগে টিম ইন্ডিয়ার বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজেও রোহিতকে সাজঘরে ফিরিয়েছিলেন তিনি। এরপর ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগে আরেক ওপেনার শিখর ধাওয়ানকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান শফিউল। দলীয় ৩৫ রানে ও ব্যক্তিগত ১৯ রানে ছ্ক্কা হাঁকাতে গিয়ে ধাওয়ান বন্দী হোন মাহমুদউল্লাহর হাতে।  

শুরুতে দুই ওপেনারকে হারালেও রানের গতি সচল রাখেন লোকেশ রাহুল ও শ্রেয়াস আয়ার। দু’জনের ৫৯ রানের জুটি ভাঙেন আল আমিন হোসেন। ৫২ রানে সাজঘরে ফেরেন রাহুল। তবে শফিউলের বলে ব্যক্তিগত ১ রানে জীবন পাওয়া শ্রেয়াস এর পরপরই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন। আমিনুল ইসলামের ক্যাচ ছাড়ার প্রতিদান দিতে হয় টাইগারদের।  

তবে বাংলাদেশকে সেই অবস্থায় রক্ষা করেন সৌম্য সরকার। নিজের তৃতীয় ওভার করতে এসে প্রথম বলে ঋষভ পান্তকে (৬) বোল্ড করার পর পঞ্চম বলে শ্রেয়াসকে ফেরান তিনি। শ্রেয়াসের ৩৩ বলে ৬২ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৩ চার ও ৫ ছক্কায়। শেষদিকে মনীষ পান্ডের ১৩ বলে ২২ এবং শিভম দুবের ৯ রানের সুবাদে ১২৪ রান সংগ্রহ করে ভারত।  

ইতিহাস হাতছানি দিচ্ছে বাংলাদেশকে। ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচটি জিতলে ইতিহাস গড়বে টাইগাররা। ভারতের মাটিতে এখন পযর্ন্ত কোনো দল তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিততে পারেনি। ২০১২ সালে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হেরেছিল টিম ইন্ডিয়া। ২০১৫ সালে ভারতের মাটিতে ইতিহাস গড়ার দিকে এগিয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু প্রথম দুই ম্যাচ জিতলেও শেষ টি-টোয়েন্টিটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হওয়ায় সেই ইতিহাস আর গড়া হয়নি প্রোটিয়াদের।  

এবার সুযোগ আছে বাংলাদেশের। টাইগারদের ইতিহাস গড়ার জন্য দরকার শেষ ম্যাচে জয়। এর আগে সিরিজের প্রথম ম্যাচে দিল্লীতে ৭ উইকেটের ঐতিহাসিক জয় পায় রাসেল ডমিঙ্গোর দল। বাংলাদেশ কখনো এর আগে ভারতের মাটিতে ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটের কোনো ম্যাচে জিততে পারেনি। তবে রাজকোটে দ্বিতীয় ম্যাচে ৮ উইকেটে জিতে সমতায় ফিরে ভারত।

বাংলাদেশ সময়: ২২২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৯
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।