সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনে শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিনা উইকেটে ৫৭ রানের সংগ্রহ নিয়ে মাঠে নামে পাকিস্তান। আগেরদিনের দুই অপরাজিত ওপেনার আবিদ ও মাসুদ দুজনেই লঙ্কান বোলারদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়ে দলকে বড় লিডের পথ দেখিয়ে দেন।
বড় জুটিতে মূল ভূমিকা রাখার পাশাপাশি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্টেও সেঞ্চুরি করে ইতিহাস গড়েছেন আবিদ। পুরুষদের ক্রিকেটে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে টেস্টে এবং ওয়ানডের অভিষেকে তিন অঙ্কের দেখা পাওয়ার কীর্তির মালিক এখন এই ওপেনার। এর আগে বৃষ্টির পেটে চলে যাওয়া রাওয়ালপিন্ডি টেস্টেও সেঞ্চুরি করেন তিনি।
নারী ক্রিকেটে এই রেকর্ড গড়েন ইংল্যান্ডের এনিড ব্যাকওয়েল। ১৯৬৮ সালে টেস্টের অভিষেক ম্যাচেই তিনি সেঞ্চুরি করেছিলেন। আর ১৯৭৩ সালে নিজের ওয়ানডে অভিষেক ম্যাচেও সেঞ্চুরি করেছিলেন এই ইংলিশ নারী ক্রিকেটার।
গত মার্চে দুবাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয় আবিদ আলির। ওপেনিংয়ে নেমে পাকিস্তানি এই ওপেনার করেন ১১২ রান। ৬ রানে হারা ম্যাচে আবিদ আলি ১১৯ বলে ৯টি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিলেন। গত ১৫ ডিসেম্বর রাওয়ালপিন্ডিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে আবিদ আলি টেস্ট অভিষেকে সেঞ্চুরি তুলে নেন। টেস্টের ইতিহাসে ক্যারিয়ারের প্রথম দুই টেস্টেই সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েছিলেন আরও ৮ জন। তবে, তাদের মধ্যে পাকিস্তানের কেউ ছিলেন না।
এদিকে করাচি টেস্টে আবিদের পাশাপাশি সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন শান মাসুদও। ১৯৮ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় সাজানো ১৩৫ রানের ইনিংস খেলে এই ওপেনার বিদায় নিলেও ডাবল সেঞ্চুরির দিকে ছুটছিলেন আবিদ। তবে লাহিরু কুমারার বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে বিদায় ঘটে তার। তবে এর আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৭৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। এই ইনিংসটি ২১টি চার ও ১টি ছক্কায় সাজানো।
আবিদ-মাসুদের বিদায়ের পরও পাকিস্তানের রানের চাকা থেকে থাকেনি। অধিনায়ক আজহার আলী আর বাবর আজম মিলে দলকে রানের পাহাড়ে তুলে দিন শেষ করেছেন। তৃতীয় দিন শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৩৯৫ রান। ৮ উইকেট হাতে রেখে স্বাগতিকদের লিড ৩১৫ রানের।
বল হাতে শ্রীলঙ্কার কুমারা ২ উইকেট তুলে নিয়েছেন।
এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৯১ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। জবাবে শ্রীলঙ্কা নিজেদের প্রথম ইনিংস শেষ করে ২৭১ রান নিয়ে। ৮০ রানের লিড পেয়েও এখন অস্বস্তি উঁকি দিচ্ছে শ্রীলঙ্কাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৯
এমএইচএম