ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

‘বিডিং করে নির্ধারণ হবে আইসিসি’র ইভেন্ট আয়োজক দেশ’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২০
‘বিডিং করে নির্ধারণ হবে আইসিসি’র ইভেন্ট আয়োজক দেশ’

ঢাকা: বিডিংয়ের মাধ্যমে ২০২৩ থেকে ২০৩১ সাল পর্যন্ত অনুষ্ঠেয় আইসিসি’র ২৪টি ইভেন্ট আয়োজক দেশ নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন। 

তিনি বলেন, আইসিসির বিশ্বকাপ ইভেন্ট পদ্ধতিতে পরিবর্তন আসছে। যে সময় যে ইভেন্টগুলো হবে সেগুলো বিডিংয়ের মাধ্যমে হবে।

এতে শুধু আয়োজক দেশ নয়, আইসিসি’র সব সদস্য দেশ লাভবান হবে।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

সাক্ষাৎ শেষে বিসিবি সভাপতি সাংবাদিকদের বলেন, ইভেন্ট আয়োজনে নতুন প্রস্তাব নিয়ে এসেছে আইসিসি। আইসিসির যে ইভেন্টগুলো হতো সেগুলো আগে যেভাবে অ্যাওয়ার্ড করা হতো এর সঙ্গে এবারের প্রস্তাবে একটা বিরাট পার্থক্য রয়েছে। এবার ওনারা নতুন একটা প্রস্তাব নিয়ে এসেছেন যে, ২০২৩ সাল থেকে ২০৩১ সাল পর্যন্ত যে ইভেন্টগুলো হবে, এই ২৪টি ইভেন্ট অ্যাওয়ার্ড করা হবে নতুন পদ্ধতিতে। ইভেন্ট আয়োজনে আগে যেটা হতো-অনেক সময় ঘুরে ঘুরে হতো, মহাদেশ অনুযায়ী হতো, সদস্যদের দিয়ে হতো, বোর্ডের সঙ্গে কথাবার্তা হতো। কিন্তু এবার আইসিসি যে পদ্ধতিটা করেছে তা হচ্ছে বিডিং। এটা হচ্ছে ফিফা এবং অলিম্পিকে যেটা করে সাধারণত দেশ বিট করে। সুতরাং আইসিসিও এ পদ্ধতিতে যাচ্ছে যে ক্রিকেটের জন্য এবার সেটা করবে। এটা শুধু ক্রিকেট খেলুড়ে দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, ওপেন।

২০২৩ সাল থেকে ২০৩১ সাল পর্যন্ত ইভেন্টগুলোর মধ্যে বিশ্বকাপ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অল ওয়ার্ল্ডকাপ, অল আইসিসি ইভেন্ট, চ্যাম্পিয়নস ট্রাফি, বিশ্বকাপ সবকিছু আছে।

সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিট করবে কিনা জানতে চাইলে পাপন বলেন, অবশ্যই করবে। কারণ আমাদের একটা সুবিধা যে অন্য নতুন কোনো দেশ যদি বিট করতে যায়, তারাও পারবে। কিন্তু তাদের অবকাঠামো উন্নয়ন করতে প্রচুর টাকা লাগবে। নতুন কোনো দেশ বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চাইলে তাদের মিনিমাম ৮টা মাঠ প্রয়োজন হবে। আমাদের সুবিধা হচ্ছে আমরা যারা টেস্ট প্লেয়িং কান্ট্রি তাদের অবকাঠামো উন্নয়নে তেমন কোনো ইনভেস্ট লাগছে না। সুতরাং সেজন্য আমরা একটু প্লাস পয়েন্টে থাকবো।

বিসিবি সভাপতি বলেন, এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে আইসিসি সব দেশেই যাচ্ছে। তারা মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও মিটিং করে এসেছেন। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, আমেরিকাসহ যারা ইন্টারেস্ট সব জায়গাতেই যাচ্ছেন। সব জায়গায় যাওয়ার পর এ প্রসেসটা যখন শুরু হবে তখন কারো যদি কোনো প্রশ্ন থাকে এ প্রসেসটা নিয়ম-কানুন কী সেটার জন্যই এসেছেন।

আইসিসির ইনকাম বাড়ানোর উদ্যোগ কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে পাপন বলেন, এটা ডেফিনেটলি ইনকাম বৃদ্ধি….। শুধু ওদের না, সদস্য সব দেশেরও হবে। এ বিষয়ে আমি যেটা বুঝতে পারছি সেটা হচ্ছে ইংল্যান্ডে যে গত ক্রিকেট বিশ্বকাপটা হয়েছে সেখানে আনুমানিক তারা ২০০ মিলিয়ন পাউন্ডের মতো আয় করেছে। বিশ্বকাপে ৩ লাখ ট্যুরিস্ট ওখানে ছিলো।

গণমাধ্যমে খবর এসেছে যে আপনারা আইসিসি’র চাপে পাকিস্তান যাচ্ছেন-এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আইসিসি’র চাপে বাংলাদেশ দল পাকিস্তান যাচ্ছে এটা ঠিক না। এটা আমি প্রথম শুনলাম।

বাংলাদেশ পাকিস্তান সফরে যাচ্ছে, এ সফরের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আজকে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।

এ বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কী সম্পর্ক রয়েছে জানতে চাইলে বিসিবি প্রধান বলেন, শুনুন প্রথমে যে জায়গায় যাবে, সিকিউরিটির বিষয়টাতো একটা গুরুতপূর্ণ এবং ইভেন্ট আয়োজনে কয়েকটা জায়গা আছে যেখানে মানুষ একটু ইতস্তত করে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নিরাপত্তা। নিরাপত্তা ইস্যুতে সবচেয়ে ভালো অবশ্য বাংলাদেশ, সেদিক দিয়ে অনেক বেটার আছি আমরা। ইন্ডিয়া হলে তাদের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বিষয়টি আসবে। কারণ রেটিং যখন করবে, তখন নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হবে। সুতরাং সেদিক দিয়ে যদি চিন্তা করতে হয়-সেজন্য তারা এসেছে, আরও অন্যান্য জায়গায় যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও আজ তারা সাক্ষাৎ করবে বলে জানান পাপন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২০ 
জিসিজি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।