সামনে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ ছাড়াও পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) সব ম্যাচও নিজ দেশের মাটিতেই আয়োজন করবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। ফলে পাকিস্তান এখন ক্রিকেট আয়োজনের জন্য নিরাপদ বলেই দাবি পিসিবি কর্তাদের।
২০১২ সালের পর আর দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলেনি ভারত ও পাকিস্তান। যদিও আইসিসি’র টুর্নামেন্টগুলোতে দুই দলের সাক্ষাৎ হয়, কিন্তু ২০০৮ সালের পর থেকে পাকিস্তান সফর থেকে বিরত থেকেছে ভারত। এরপর ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে গিয়েছিল পাকিস্তান দল। কিন্তু ২০১৮ এশিয়া কাপের আসর পাকিস্তান থেকে সরিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিতে বাধ্য হয় পিসিবি।
সম্প্রতি গালফ নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আফ্রিদি বলেন, “পিএসল’’র সবগুলো ম্যাচ পাকিস্তানে আয়োজন করা একটি ভালো উদ্যোগ। তাছাড়া বাংলাদেশ এখানে সফর করেছে, এমনকি টেস্ট খেলতেও আসবে। এর ফলে আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা যে ভালো সেটা পরিষ্কার। আমি অপেক্ষায় আছি ভারত কবে পাকিস্তানে এসে একটি সিরিজ খেলে যাবে। ’
এদিকে আসন্ন এশিয়া কাপের আয়োজক দেশ হওয়ার কথা পাকিস্তানের। কিন্তু নিরাপত্তার অজুহাতে ভারত এই আসরে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। ফলে সংশয় দেখা দিয়েছে টুর্নামেন্টের ভবিষ্যৎ নিয়েই। এমতাবস্থায়, সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়ক আফ্রিদির মত হলো, ভেন্যু যেটাই হোক, ভারত এবং পাকিস্তান দুই দেশেরই উচিৎ এতে অংশগ্রহণ করা।
সাবেক অলরাউন্ডার বলেন, ‘এশিয়া কাপ অবশ্যই ভারত এবং পাকিস্তানকে নিয়েই আয়োজিত হতে হবে। এখনই সময় দুই দেশ একসঙ্গে বসার এবং তৃতীয় কোনো দেশের হস্তক্ষেপ ছাড়াই নিজেদের সমস্যা মিটিয়ে নেওয়া। তাদের মধ্যে অনেক ইস্যু জড়িয়ে আছে এবং একবার তারা একসঙ্গে বসতে পারলে সমাধান হবে। তবে এশিয়া কাপের আসর যেখানেই বসুক না কেন, সেখানে ভারত ও পাকিস্তানের অংশগ্রহণ অবশ্যই থাকতে হবে। ’
এদিকে সম্প্রতি ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড বা বিসিসিআই’র এক কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ভারতীয় দলের পাকিস্তান সফরের কোনো সম্ভাবনা নেই। এমনকি সেটা যদি এশিয়া কাপের মতো টুর্নামেন্টও হয়, তাহলেও না।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০২০
এমএইচএম/এমএমএস