কিছুদিন আগে আফ্রিদি দাবি করেছিলেন, পাকিস্তানের কাছে হারার পর নাকি প্রায়ই ক্ষমাপ্রার্থনা করতেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। এবার শচীনকে নিয়ে যে বিস্ফোরক দাবি তিনি করেছেন এটাও বেশ পুরনো।
পাকিস্তানের জ্যনাব আব্বাসকে দেওয়া এক অনলাইন সাক্ষাৎকারে আফ্রিদি বলেন, ‘দেখুন, শচীন তো আর নিজে থেকে স্বীকার করবে না যে, সে ভয় পাচ্ছে। শোয়েব আখতারের কিছু স্পেল ছিল যেখানে শুধু শচীন কেন, বিশ্বের অন্যতম সেরারাও নড়বড়ে হয়ে যেতো। আপনি যখন মিড-অফ কিংবা কভারে ফিল্ডিং করবেন, আপনি সেটা দেখতে পারবেন। আপনি তখন খেলোয়াড়ের শরীরী ভাষা বুঝতে পারবেন। আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন যে খেলোয়াড় চাপে আছে কিংবা স্বাভাবিক অবস্থায় নেই। আমি বলছি না যে, শোয়েব সবসময় শচীনকে ভর পাইয়ে দিত কিন্তু তার কয়েকটি স্পেলে শচীনসহ বিশ্বসেরাদের ব্যাকফুটে খেলতে বাধ্য হতে দেখেছি। ’
অবশ্য আফ্রিদি একাই নন, একই দাবি করেছিলেন স্বয়ং শোয়েব আখতার। ২০১১ সালে নিজের বই ‘কন্ট্রোভার্সিলি ইয়ুর্স’-এ তাকে শচীনের ভয় পাওয়ার দাবি করেছিলেন ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’। সাবেক সতীর্থের সুরে সুর মিলিয়ে আফ্রিদিও বললেন, ‘সে (শচীন) শোয়েবকে ভয় পেতো। আমি নিজের চোখে দেখেছি। আমি স্কয়ার লেগে ফিল্ডিং করছিলাম এবং দেখলাম শোয়েব যখন বল করতে করতে যাচ্ছে তখন তার (শচীনের) পা কাঁপছে। ’
তবে কবে ও কোন ম্যাচে এমনটা ঘটেছিল তা খোলাসা করেননি আফ্রিদি। তবে এরপর আরো এক বিস্ফোরক দাবি করেছেন এই অলরাউন্ডার, ‘বিশ্বকাপে, তাকে (শচীন) দেখে মনে হচ্ছিল সে (সাবেক স্পিনার) সাঈদ আজমলেও ভয় পাচ্ছিল। তবে এটা এত বড় কিছু নয়। কারণ খেলোয়াড়রা মাঝে মাঝে এমন চাপ অনুভব করে এবং এটা কঠিন হয়ে যায়। ’
শচীব বনাম শোয়েব পুরনো দ্বৈরথ। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানে এই দুজনের লড়াইয়ে সবার নজর থাকত। মাঝে মাঝে এই দ্বৈরথে শচীন জিততেন, তো মাঝে মাঝে জিততেন শোয়েব। শোয়েব খেলেছেন এমন ৯ টেস্টে শচীন ৪১.৬০ গড়ে ৪১৬ রান করেছিলেন। অন্যদিকে শোয়েব টেস্টে ৩ বার শচীনকে আউট করেছেন। শোয়েব একাদশে ছিলেন এমন ১৯ ওয়ানডেতে ৪৫.৪৭ গড়ে ৮৬৪ রান করেছেন শচীন, স্ট্রাইক রেট ৯০-এর বেশি। আর ওয়ানডেতে শচীনকে ৫ বার আউট করেছেন শোয়েব।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০২০
এমএইচএম