ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

মেহেদি ঝলকে রাজশাহীর রোমাঞ্চকর জয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২০
মেহেদি ঝলকে রাজশাহীর রোমাঞ্চকর জয় ছবি: শোয়েব মিথুন

মেহেদি হাসানের দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ভর করে বেক্সিমকো ঢাকাকে হারিয়ে শুভসূচনা করল মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী।

১৯তম ওভারে তিন ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ঢাকার হাতে এনে দিয়েছিলেন মুক্তার।

ওই ওভারে তার বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ২১ রান আসে। কিন্তু ৫ উইকেট হাতে নিয়েও মেহেদির করা ইনিংসের শেষ ওভারে ৯ রানের সমীকরণ মেলাতে পারলেন না মুক্তার। মেহেদির একের পর এক ইয়র্কারে পরাস্ত হলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত মাত্র ২ রানে ম্যাচ জিতে নিল রাজশাহী।

মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রানের সংগ্রহ গড়ে নাজমুল হাসান শান্তর রাজশাহী । জবাবে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রানে থামে মুশফিকুর রহিমের ঢাকার ইনিংস।  

রাজশাহীর ছুড়ে দেওয়া ১৭০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি ঢাকা। ওপেনার তানজিদ হাসান ১৮ রান করে রান আউটের শিকার হওয়ার পর দলীয় ৫৫ রানের মধ্যে আরও দুই উইকেট খুইয়ে বসে দলটি। তিনে নামা মোহাম্মদ নাঈম অবশ্য ১৭ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেলে কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন।

ঢাকাকে খেলায় ফেরায় মুশফিকুর রহিম ও আকবর আলীর জুটি। দুজনে মিলে ৭১ রানের জুটি গড়েন। দলকে ১২৬ রানে রেখে আকবর বিদায় নিলে ভাঙে এই জুটি। ফরহাদ রেজার বলে বিদায় নেওয়ার আগে ২৯ বলে ৩৪ রানের ইনিংস আসে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের ব্যাট থেকে। এর কিছুক্ষণ পর ফিফটির দিকে ছুটতে থাকা মুশফিক এবাদাতের বলে স্কুপ খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন। বিদায়ের আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৩৪ বলে ৪১ রানের ইনিংস।

মুশফিক বিদায় নেওয়ার পরও ঢাকার জয়ের আশা-ভরসা হয়ে ছিলেন সাব্বির রহমান ও মুক্তার আলী। সাব্বির ৭ বলে ৫ রান করে অপরাজিত থেকে গেছেন। কিন্তু আসল লড়াইটা করেছেন মুক্তার। এই লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ফরহাদ রেজার করা ইনিংসের ১৯তম ওভারে তিন ছক্কায় ২১ রান তুলে ম্যাচের গতিপথ পাল্টে দিয়েছিলেন।  

শেষ ওভারে জেতার জন্য ঢাকার দরকার ছিল মাত্র ৯ রান। বোলিংয়ে ছিলেন তুলনামূলক অনভিজ্ঞ মেহেদি হাসান। কিন্তু ওই ওভারের প্রথম তিন বলে মুক্তার কোনো রানই নিতে পারলেন না। তিনটি বলই ছিল ইয়র্কার লেন্থে। চতুর্থ বলে মুক্তার ফুলটস পেয়ে স্কয়ার লেগে মারলেন চার। পঞ্চম বলে আবার ইয়র্কার। এবারও ব্যাট ছোঁয়াতে ব্যর্থ মুক্তার। কিন্তু ওভার স্ট্যাম্পিংয়ের জন্য নো বলের ইশারা করেন আম্পায়ার। বাড়তি রানের সঙ্গে সঙ্গে ফ্রি হিট পেয়ে যায় ঢাকা। কিন্তু এবারও ইয়র্কার দেন মেহেদি, যথারীতি এবারও মিস। শেষ বলে তার অফসাইডে ফেলা বলে কোনোমতে ব্যাট ছুঁয়ে এক রান নিতে পারেন মুক্তার। ১৬ বলে ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। অন্যদিকে জিতে যায় রাজশাহী।

বল হাতে ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ২২ রানে খরচে ১ উইকেট তুলে নিয়ে রাজশাহীর সেরা বোলার মেহেদি। ব্যাট হাতে ফিফটি হাঁকানো মিলিয়ে ম্যাচ সেরাও নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।

এর আগে মেহেদি হাসানের ফিফটি এবং আনিসুল ইসলাম ইমন ও নুরুল হাসানের ত্রিশোর্ধ্ব দুই ইনিংসে ভর করে বড় সংগ্রহ পায় রাজশাহী। ৩২ বল মোকাবিলা করে মেহেদি ৫০ রানের ইনিংসটি ৩ চার ও ৪ ছক্কায় সাজিয়েছেন। ইমনের ব্যাট থেকে আসে ২৩ বলে ৩৫ রান এবং নুরুল খেলেছেন ২০ বলে ৩৯ রানের ইনিংস।

বল হাতে ঢাকার মুক্তার আলী একাই তিন উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া ১টি করে উইকেট গেছে মেহেদি হাসান রানা, নাসুম ও নাঈমের দখলে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২০
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।