মিথ্যা প্রচারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন ক্রিকেটার নাসির হোসেন। বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) স্ত্রী তামিমা তাম্মিকে সঙ্গে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এমনটি জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিয়ে করেন নাসির। পরে ১৯ ফেব্রুয়ারি হয়েছে বিবাহোত্তর সংবর্ধনা। তবে এরই মধ্যে অভিযোগ উঠেছে আগের স্বামীকে তালাক না দিয়েই নাসিরকে বিয়ে করেছেন স্ত্রী তামিমা তাম্মি।
তবে এদিন নাসির বলেন, ‘সংবাদ মাধ্যমে যেসব তথ্য আসছে তা সত্যি নয়। আর যারা মিথ্যে প্রচার করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’
নাসিরের বিয়ে নিয়ে তৈরি হয় নতুন সমস্যা। তার স্ত্রী তামিমা তাম্মির এর আগে বিয়ে হয়েছিল রাকিব নামের একজনের সঙ্গে। ১০ বছর আগে রাকিবের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তামিমার। নিকাহনামায় উল্লেখ করা আছে ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ৩ লাখ টাকা দেন মোহরে বিয়ে হয় তাদের।
স্বামী মো. রাকিব হাসানকে তালাক না দিয়েই জাতীয় দলের নাসির হোসেনের সঙ্গে বিয়ে করেছেন তামিমা তাম্মি। এ নিয়ে উত্তরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন রাকিব। সেই ডায়েরিতে উঠে এসেছে নতুন এত তথ্য। তিনি দাবি করেন, রাকিব-নাসির ছাড়াও অন্য একজনের সঙ্গে ছয় মাস সংসার করছেন তমিমা।
উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি জিডি করেন রাকিব। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তারুজ্জামান ইলিয়াস। জিডির নম্বর ১৩/২৬।
সাধারণ ডায়েরি সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে তামিমা তাম্মিকে বিয়ে করেন রাকিব। দাম্পত্য জীবনে তাদের একটি মেয়ে রয়েছে। এর মধ্যেই তামিমা অন্য এক ছেলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ায়। ছয় মাস সংসার করার পর ফিরে আসে। পরে রাকিবের সঙ্গে ক্ষমা চেয়ে পার পায়। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি নতুন করে নাসিরের সঙ্গে ছবি ভাইরাল হলে রাকিব জানতে পারেন, তামিমা বিয়ে করেছেন।
জিডি করার কারণ উল্লেখ করে রাকিব বলেন, সংসারজীবনে বিবাদীর কাছে অনেক টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার রাখা আছে। এমনকি আমাকে তালাকও দেননি। টাকা ও অলঙ্কার চাইলে বিবাদী আমাকে ক্ষতি করবে বলে হুমকি দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২১
এমএমএস