ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

ধর্মপ্রাণ আমলাকে জোর করে মদপান করানোর চেষ্টা!

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২১
ধর্মপ্রাণ আমলাকে জোর করে মদপান করানোর চেষ্টা!

বর্ণবিদ্বেষ বিতর্কে তোলপাড় ইংল্যান্ডের ক্রিকেট। এবার তাতে নতুন সংযোজন হাশিম আমলা পর্ব।

কাউন্টি ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি ব্যাটারের একসময়ের সতীর্থ টিনো বেস্ট এই পর্ব সামনে এনেছেন। সাবেক এই ক্যারিবীয় পেসারের দাবি, ধর্মপ্রাণ হাশিম আমলাকে জোর করে মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করা হয়েছিল!

মূলত কাউন্টি ক্লাব ইয়র্কশায়ারের সাবেক ক্রিকেটার আজিম রফিকের কারণেই ইংলিশ ক্রিকেটের অন্ধকার এক দিক উন্মোচিত হয়েছে। তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া বর্ণবিদ্বেষমূলক ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই টালমাটাল অবস্থায় পড়েছে ইংলিশ ক্রিকেটমহল। ব্রিটেনের এমপিদের নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির সামনে তিনি একের একের পর বিস্ফোরক তথ্য সামনে আনেন। এবার এই বিতর্ক বাড়িয়ে মুখ খুললেন বেস্ট।

২০১০ সালে পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত আজিম রফিকের সঙ্গে ইয়র্কশায়ারে খেলেছেন বেস্ট। তার দাবি, কাউন্টি ক্রিকেটে মদপানের রীতির কারণে অনেক এশীয় ক্রিকেটার সমস্যায় পড়েন। এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়েই তিনি জানান, ধর্মপ্রাণ মুসলিম হওয়া সত্ত্বেও আমলাকে জোর করে মদপান করানোর চেষ্টা করা হয়েছিল।  

'স্কাই স্পোর্টস-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বেস্টবলেন, “হাশিম আমলাকে একবার এক ব্যক্তি টানা কয়েক ঘণ্টা ধরে জোরাজুরি করছিল। সেই ব্যক্তি তাকে মদপান করানোর চেষ্টা করছিলেন। আর আমলা বরাবরের মতো বিনয়ী হয়ে 'না' করছিল। তা সত্ত্বেও সেই ব্যক্তি থামছিল না। আমি তখন বাধ্য হয়ে বলি- আমলা একজন মুসলিম। ও পান করে না। দয়া করে তুমি এই জোরাজুরি বন্ধ করো। আমি আর সহ্য করতে পারছি না। ”

হাশিম আমলা বরাবর ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি হিসেবে ক্রিকেট দুনিয়ায় সুপরিচিত। দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় দলের জার্সিতে মদ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের লোগো লাগাতে রাজি হননি তিনি। এজন্য এমনকি জরিমানাও দিয়েছেন তিনি। বেস্ট সেই ঘটনা প্রকাশ করে জানালেন, কীভাবে এশীয় এবং এশীয় বংশোদ্ভূতরা ইংলিশ ক্রিকেটের সংস্কৃতিতে খাপ খাওয়াতে গিয়ে ঝামেলায় পড়েন।

বেস্ট আরও বলেন, “ইংলিশদের ক্রিকেট সংস্কৃতি পুরোটাই মদপানকে কেন্দ্র করে। দলের অংশ হওয়ার জন্য কাউকে ক্লাবহাউসে গিয়ে ৮-৯ পেগ মদ্যপান করতে বাধ্য করা মোটেই ঠিক নয়। যদি কেউ এই সংস্কৃতি অপছন্দ করে, তাহলে সে দলের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এগুলো বর্ণবিদ্বেষকে আরও প্রভাবিত করে। ”

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২১
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।