‘ইন্টেন্ট’ কিংবা ‘পাওয়ার হিটিং’ গত কয়েকদিনে শব্দ দুটো বেশ আলোচিত। প্রস্তুতি ম্যাচে তার কতটা দেখা মিলল ওই প্রশ্ন অবশ্য কাটল না।
কিন্তু রান ওই অনুযায়ী হলো না খুব একটা। ব্যাটারদের মধ্যেও দেখা গেল না বড় রান করার ক্ষুধা। দু’বার নেমে ফিফটি করেন সাকিব আল হাসান। দুই বার করে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পান এনামুল হক বিজয়, আফিফ হোসেন, শেখ মেহেদীও। বিজয়ের সঙ্গে ব্যর্থ হয়েছেন একবারই নামা রিয়াদও।
আগে ব্যাট করে ১৬৫ রান করে লাল দল। ম্যাচ আবহের জন্য সবুজ দলকে লক্ষ্য দেওয়া হয় ১৪৮ রানের। ওই লক্ষ্য ৪ উইকেট হাতে রেখেই টপকে গেছে সবুজ দল।
প্রথমবার ব্যাট করতে নেমে ১৩ বলে ১৭ রান করে সাজঘরে ফিরলেও লোয়ার অর্ডারে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৪ বলে ৩৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন সাকিব। তিনটি ছক্কা মারেন সাকিব। প্রথমবার পেসার এবাদত হোসেনের স্লোয়ার বল চেক করতে গিয়ে কভারে আফিফের হাতে ক্যাচ দেন সাকিব। দ্বিতীয়বার তাকে কেউ আউট করতে পারেননি।
এশিয়া কাপে বাংলাদেশের আরেক চিন্তার নাম উদ্বোধনী ব্যাটিং। এই পজিশনের দুজনের একজন বিজয় ব্যর্থ দুবার নেমেও। লাল দলের ওপেনার প্রথমবার ৪ রানে আউট হন তাসকিনের বলে। দ্বিতীয় সুযোগে ১০ বলে ২ ছক্কায় ১৯ রানের বেশি করতে পারেননি। বিজয় ব্যর্থ হলেও লোয়ার অর্ডারে রান পেয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। মাত্র ১৭ বলে ৩০ রান করেছেন ২টি করে চার ও ছক্কায়।
লাল দলের হয়ে ব্যাটিং করেছিলেন মেহেদী। ৬ বল খেলে খুলতে পারেননি রানের খাতা। তাসকিনের বলে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। পরে দ্বিতীয় ইনিংসে সবুজ দলের হয়ে তাকে বাজিয়ে দেখা হয়। যেখানে ১৬ বলে ৭ চারে ৩১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন মেহেদী। এর বাইরে মুশফিকুর রহিম ১৭ বলে ২২ রান করেন ১টি করে চার ও ছক্কায়। মাহমুদউল্লাহ অবশ্য রানের দেখা পাননি। ৯ বলে করেন ১২ রান।
সবুজ দলের হয়ে ওপেনিংয়ে নামেন যুব দলের মাহফিজুল ইসলাম রবিন ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
২৪ বলে ২৪ রান করে আউট হন রবিন। মিরাজের ব্যাট থেকে ২১ বলে আসে ২৯ রান। রান পাননি সবুজ দলের অধিনায়ক আফিফ। ৮ রানে প্রথমবার ফেরেন সাজঘরে। দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে নেমে ১ রান করে আউট হন তিনি। ১৭ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২৬ রান করে সাইফ উদ্দিন।
বোলিংয়ে সবুজ দলের তাসকিন ৪২ রানে দুইটি ও নাসুম ২৩ রানে ২ উইকেট পেয়েছেন। লাল দলের হয়ে সাকিব ২৯ রানে ২টি এবং হাসান মুরাদ ১০ রানে ২ উইকেট পেয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়:
এমএইচবি/এআর