ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আইআইইউসিতে ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স উদ্বোধন

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২৩
আইআইইউসিতে ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স উদ্বোধন ...

চট্টগ্রাম: আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম এর (আইআইইউসি) ফ্যাকাল্টি অফ আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিস এর উদ্যোগে ‘এনভিশনিং দ্য ফিউচার: টিচিং ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড লিটারেচার’ বিষয়ে দুই দিনব্যাপী ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স ২০২৩ এর উদ্বোধন হয়েছে।  

শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (আইআইইউসি) এর কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এই কনফারেন্স শুরু হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আইআইইউসির উপাচার্য প্রফেসর আনোয়ারুল আজিম আরিফ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, মানবসভ্যতার উন্নতির জন্য নতুন চিন্তার উন্মেষ ঘটাতে হবে।

এই উন্মেষ ঘটবে ভাষা ও সাহিত্য চর্চার মাধ্যমে। জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে ভাষা ও সাহিত্য চর্চা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বিশেষ অতিথি আইআইইউসির উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মছরুরুল মওলা বলেন, শিক্ষাকে সর্বজনীন করার ক্ষেত্রে ভাষা ও সাহিত্য চর্চা অত্যাবশ্যক।

কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন আইআইইউসির ট্রেজারার ও ফ্যাকাল্টি অফ আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিস এর ডীন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, ভাষা শিক্ষা ও সাহিত্য চর্চার মাধ্যমে উন্নত জাতি গঠনের আলোকে আইআইইউসি সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।  

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহীত উল আলম কী-নোট বক্তব্যে বলেন, ভাষা এবং সাহিত্য পরস্পরের সম্পূরক। ভাষা এবং সাহিত্য একে অপরকে বিচ্ছিন্ন করে না। তারা সমান্তরালভাবেই চলে। ভাষা শিক্ষা করতে হবে আনন্দঘন পরিবেশের মাধ্যমে।  ভাষার ওপর সাংস্কৃতিক প্রভাবও আছে। এটাই হচ্ছে ভাষার বহুমাত্রিকতা। আমাদেরকে ভাষা এবং সাহিত্যের মাঝখানে একটি সমন্বয় সাধনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।  

ভারতের আলীগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. সানাউল্লাহ আল-নদভী কী-নোট বক্তব্যে বলেন, মানবসভ্যতা ভাষা আর সাহিত্যকে পুঁজি করে ইতিবাচক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। ভাষা আর সাহিত্যে ক্লাসিক্যাল, মডার্ন, পোস্ট মডার্ন, ওরিয়েন্টাল, ইসলামিক এবং ইউরোপীয় প্রভাব পরিলক্ষিত হয়েছে। সমস্ত প্রভাব মানবজাতির সার্বিক কল্যাণকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে।  

যুক্তরাষ্ট্রের ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ফ্যালো মিমি মারসটলার কি-নোট বক্তব্যে বলেন, ছাত্রদের নিজ অভিজ্ঞতাকে ভাষা শিক্ষার মাধ্যমে সংযুক্ত করতে হবে। ছাত্রদের অভিজ্ঞতাকে ভাষা শিক্ষার ধারায় নিয়ে আসতে হবে।

কী-নোট স্পিকার হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ফেলো এ্যালেন স্টুয়ার্ট। উপস্থিত ছিলেন আইআইইউসির সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. জাহেদ হোসেন সিকদার, ডিরেক্টর প্রফেসর ড. দেলোয়ার হোসেন, রেজিস্ট্রার এএফএম আক্তারুজ্জামান কায়সার, প্রক্টর মো. ইফতেখার উদ্দিন, শরীয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. নাজমুল হক নদভী।

পবিত্র কোরআন তেলওয়াত ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়। স্বাগত বক্তব্য দেন আইআইইউসির ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড লিটারেচার ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান মো. ছরওয়ার আলম ও এরাবিক ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড লিটারেচার ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান ড. মো. মাহমুদুল হাসান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ইংরেজি বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর মো. মহিব উল্লাহ।

কনফারেন্সে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক গবেষক তাদের গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২৩ 
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।