চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রভাব ফেলেছে খাবারের দামে। সম্প্রতি বাড়ানো হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আবাসিক হলগুলোর ডাইনিংয়ে খাবারের দাম।
শুক্রবার (২৪ মার্চ) বিকেল ৩টায় দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্ত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় তারা 'প্রভোস্ট স্যার, ডাইনিংয়ে আসেন, একসঙ্গে খাই', 'হঠাৎ দাম বৃদ্ধি কেন? প্রশাসন জবাব চাই', 'রমজানে প্রহসন মানিনা মানবো না', 'খাবারে মান নেই, দাম বৃদ্ধি হয় কিভাবে' এমন স্লোগান লিখে প্লেকার্ড হাতে প্রতিবাদ জানান।
আন্দোলনকারী শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী জুবায়ের হোসেন বলেন, হলের খাবার এমনিতেই নিম্নমানের। এরপরও কষ্ট করে আমরা সেটা খাই। কিন্তু শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া হঠাৎ দাম বাড়ানো হয়েছে। রমজানে অনেক শিক্ষার্থীর টিউশন থাকে না। তারা কিভাবে চলবে? আজকের মধ্যে দামের ব্যাপারে সুরাহা না হলে আমরা আরও কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।
শাহ আমানত হলের আবাসিক শিক্ষক হাসান মুহাম্মদ রোমান বলেন, ডাইনিং ম্যানেজাররা দীর্ঘদিন থেকে দামের ব্যাপারে অভিযোগ করে আসছেন। বাজারে দাম বেশি তাই অল্প দামে শিক্ষার্থীদের খাবার দিতে পারছেন না তারা। আবার খাবার দিলেও মান ঠিক রাখা যায় না। তাই হল প্রভোস্টরা বসে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে শিক্ষার্থীদের কষ্টের ব্যাপারটাও বুঝতে পারছি। রাতে এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ বসে দাম নির্ধারণ করবে।
চবি প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে জেনেছি। সব কিছুর দাম বেশি। তাই খাবারের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে রাতে আমরা এ বিষয়ে আবার বসবো। সব কিছু বিবেচনা করে দাম নির্ধারণ করা হবে।
এর আগে চবির হলে খাবারের দাম ছিলো ২০ টাকা। ২০২১ সালে ৫ টাকা বাড়িয়ে খাবারের দাম ২৫ টাকা করা হয়। গত কাল থেকে দ্রব্যমূল্যেরি ঊর্ধ্বগতির কারণে খাবারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ টাকা। পাশাপাশি সেহরির দাম ৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬০ টাকা করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৩
এমএ/পিডি/টিসি