ঢাকা, শুক্রবার, ৭ ভাদ্র ১৪৩২, ২২ আগস্ট ২০২৫, ২৭ সফর ১৪৪৭

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

এক বছরে চট্টগ্রামের গ্রাম আদালতে নিষ্পত্তি হয়েছে ২৩০৫ মামলা

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩:২৩, আগস্ট ২২, ২০২৫
এক বছরে চট্টগ্রামের গ্রাম আদালতে নিষ্পত্তি হয়েছে ২৩০৫ মামলা ...

চট্টগ্রাম: বিগত এক বছরে চট্টগ্রামের ১৯১টি ইউনিয়নে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে বিচারের জন্য ২ হাজার ৬২২টি মামলার আবেদন করা হয়। যার মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে ২ হাজার ৩০৫টি মামলা।

এর মধ্যে ৬২১টি মামলার আবেদনকারী নারী।  

এছাড়া এক বছরে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে ৭১ লাখ ৯৫ হাজার ৪৭৪ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায়পূর্বক আবেদনকারীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

চট্টগ্রামে জেলা পর্যায়ে গ্রাম আদালত কার্যক্রমের বার্ষিক অগ্রগতি পর্যালোচনা ও করণীয় শীর্ষক সভায় এ তথ্য জানানো হয়।

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) প্রাইমারি টিচার্স ইন্সটিটিউট (পিটিআই) মিলনায়তনে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের আয়োজনে চট্টগ্রামে জেলা পর্যায়ে গ্রাম আদালত কার্যক্রমের বার্ষিক অগ্রগতি পর্যালোচনা ও করণীয় শীর্ষক সভায় চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাহবুবুল হক বলেন, এমপি মন্ত্রীদের বিচারকার্য পরিচালনার জন্য কোনও এজলাস থাকে না। কিন্তু দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সহজ ও সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতে গ্রাম আদালতের এজলাস রয়েছে।  

তিনি বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান কিংবা ভারপ্রাপ্ত প্যানেল চেয়ারম্যানদের বিষয়টির সর্বোচ্চ গুরুত্ব অনুধাবন করতে হবে। গ্রাম আদালতের মাধ্যমে ছোটখাট বিরোধ-বিবাদ নিষ্পত্তি হলে গ্রামের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর যেমন উপকার হয়, অন্যান্য উচ্চ আদালতেও মামলার চাপ কমে।

চট্টগ্রাম জেলার স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক মো. নোমান হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলার সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ভারপ্রাপ্ত প্যানেল চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা।

সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্পের কারিগরি সহায়তা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ইউএনডিপি বাংলাদেশের প্রজেক্ট অ্যানালিস্ট শাহাদাত হোসেন এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন সহযোগী সংস্থা ইপসার পরিচালক (অর্থ) পলাশ চৌধুরী। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার শাখার সিনিয়র সহকারী কমিশনার ইমরান মাহমুদ ডালিম এর সঞ্চালনায় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্পের চট্টগ্রামে জেলার ব্যবস্থাপক সাজাদুল আনোয়ার ভুইয়া।

সভায় বক্তারা বলেন, স্থানীয় বিরোধ-বিবাদ নিষ্পত্তির জন্য গ্রাম আদালতের বিকল্প নেই। বিশেষ করে স্থানীয় পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী, নারী এবং প্রতিবন্ধীসহ সকলের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার অন্যতম বিচারিক কাঠামো গ্রাম আদালত। বর্তমান প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম জেলার বেশকিছু ইউনিয়নে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম চালানো কষ্টসাধ্য হচ্ছে। এসব ইউনিয়নে বিচারিক সেবা নিশ্চিতে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।  

এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।