ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সাংবাদিক ফারুকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার না হলে আন্দোলন

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৪ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২৩
সাংবাদিক ফারুকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার না হলে আন্দোলন ...

চট্টগ্রাম: বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রথম প্রতিবাদকারী ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মৌলভী সৈয়দ আহমদের ভাতিজা সাংবাদিক ফারুক আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ১৫ দিনের মধ্যে প্রত্যাহার না হলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।  বাঁশখালীর সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর নির্দেশে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে’ মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল।

 

মঙ্গলবার (১৩ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মৌলভী সৈয়দ পরিবারবর্গ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সন্তান প্রজন্ম’র ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।  

লিখিত বক্তব্যে মৌলভী সৈয়দের ভাতিজা জয়নাল আবেদিন বলেন, দীর্ঘদিন থেকে সৈয়দ পরিবারকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বাঁশখালীর সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান।

তার লেলিয়ে দেওয়া বাহিনী ও বাঁশখালী থানা পুলিশ নিয়মিত এই পরিবারকে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। আমার ছোট ভাই সাংবাদিক ফারুকের বিরুদ্ধে মামলার এজাহারে বাদী মোরশেদুর রহমান নাদিম উল্লেখ করেছেন, এমপি মোস্তাফিজের নির্দেশনায় এই মামলা বাঁশখালী থানায় দায়ের করা হয়েছে।

শুধু তাই নয়, মামলাটি যখন দায়ের করা হয় তখন বাঁশখালী থানার পরিদর্শকের (তদন্ত) দায়িত্বে ছিলেন কামাল উদ্দিন। বাঁশখালীতে মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশে হামলা ও মামলাসহ নানা কারণে বদলি হওয়ার পর আবার ওসি হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে এমপিকে খুশি করতে একতরফাভাবে তড়িঘড়ি করে এই মামলার চার্জশিট দিয়েছেন। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। তা না হলে বীর চট্টলার রাজপথে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এজন্য আমরা নানা কর্মসূচি ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছি।

তিনি বলেন, মৌলভী সৈয়দ পরিবারকে হেয়প্রতিপন্ন ও রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা করতে এমপি মোস্তাফিজ তার বাহিনী দিয়ে নানামুখী অত্যাচার, নিপীড়ন চালাচ্ছে। যার ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালের ১ আগস্ট বাঁশখালী থানায় ফারুক আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা দায়ের করে। শুধু তাই নয়, এর আগে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রয়াত নেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু সম্পর্কেও কটূক্তি করেছিলেন। জাতীয় দিবসে জামায়াত নেতাদের নিয়ে শহীদ মিনার পুষ্পস্তবক প্রদান, জামায়াত ঘরানার লোক কাজী নিয়োগসহ জামায়াত প্রীতির অভিযোগ রয়েছে সাংসদ মোস্তাফিজের বিরুদ্ধে।  

মুক্তিযোদ্ধারা বলেছেন, এই দেশ মুক্তিযোদ্ধাদের বাংলাদেশ। এখানে রাজাকার-আলবদর ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অনুপ্রবেশকারীসহ সব অপশক্তিকে মোকাবেলা করতে সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম।  

এদিকে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে কর্মসূচিও ঘোষণা করেছেন আয়োজকরা। এর মধ্যে রয়েছে- চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন। প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান। কেন্দ্রীয় ভাবে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন। সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা ‍মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অর্থ কমান্ড বীর ‍মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, চট্টগ্রামে প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি চৌধুরী ফরিদ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড, চট্টগ্রাম মহানগরের সদস্যসচিব রাজিশ ইমরান, মৌলভী সৈয়দের ভাতিজা ও যুবলীগ নেতা জহির উদ্দিন মো. বাবর এবং দক্ষিণ জেলার ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল কাদের রিমন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২৩
এমআই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।