ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির ২য় সমাবর্তনে সনদ পাচ্ছেন ৪৬৬৩ শিক্ষার্থী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৩
বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির ২য় সমাবর্তনে সনদ পাচ্ছেন ৪৬৬৩ শিক্ষার্থী ...

চট্টগ্রাম: বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর)। এবারের সমাবর্তনে সনদ প্রদান করা হবে ৪ হাজার ৬৬৩ জন শিক্ষার্থীকে।

 

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস. রহমান হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এএফএম আওরঙ্গজেব।  

উপাচার্য জানান, সমাবর্তনে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের বিবিএ প্রোগ্রামের অধীনে ২ হাজার ৭৬ জন, এমবিএ প্রোগ্রামে ৮৩৭ জন, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের অধীনে বিএসসি ইন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামে ৩৫৫ জন, বি.ফার্ম অনার্স প্রোগ্রামের অধীনে ২৩৩ জন, আইন, কলা এবং সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে বি.এ অনার্স ইন ইংলিশ প্রোগ্রামে ২৯৩ জন, ব্যাচেলর অব ল প্রোগ্রামে ৬৮৯ জন এবং এম.এ ইন ইংলিশ প্রোগ্রামে ১০৭ জনকে সনদ প্রদান করা হবে।

তিনি জানান, যে সকল শিক্ষার্থী অসাধারণ মেধার স্বাক্ষর রেখেছে তাদের মধ্যে ৫ জনকে চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল, ৪ জনকে ভাইস চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল ও ৬ জনকে চেয়ারম্যান গোল্ড মেডেল প্রদান করা হবে।

প্রফেসর ড. এএফএম আওরঙ্গজেব জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি এ সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করবেন। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইমিরেটাস, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য প্রফেসর ড. এ. কে আজাদ চৌধুরী, বিশেষ অতিথি থাকবেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ এবং বিজিসি ট্রাস্ট এর প্রতিষ্ঠাতা ও বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান, প্রাক্তন সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার আফছার উদ্দিন আহমেদ।

উপাচার্য বলেন, বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ২০০১ সালে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন বিধিবদ্ধ পর্ষদের অনুমোদন লাভের পর ২০০৩ সালে নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে। প্রায় ১০০ একর জায়গা নিয়ে নিজস্ব সবুজ ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য সরকার ও ইউজিসি কর্তৃক সবুজ সংকেত প্রাপ্ত অন্যতম বিশ্ববিদ্যালয় এটি। বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩টি অনুষদের অধীনে ৬টি বিভাগ রয়েছে এবং বিভাগসমূহের মাধ্যমে ৯টি প্রোগ্রামে বর্তমানে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, যেখানে প্রায় সাড়ে তিন হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছে।

তিনি বলেন, বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চশিক্ষার প্রসার ও উন্নয়নে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করে আসছে। ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ৩৩টি ব্যাচে মোট ১২ হাজার ৬৮০ জন শিক্ষার্থী সফলভাবে তাদের গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেছে। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত ১ম সমাবর্তনে ৭,৩৭৭ জনকে গ্রাজুয়েশন সনদ প্রদান করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এম সরওয়ার উদ্দিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. এস.এম শোয়েব, মিডিয়া কমিটির আহ্বায়ক ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অভিজিৎ পাঠক, মিডিয়া কমিটির সদস্য সচিব ও জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ইয়াসির সিলমী ও প্রভাষক সরওয়ার কামাল।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৩ 
বিই/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।