ঢাকা, মঙ্গলবার, ১ বৈশাখ ১৪৩২, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে জোড়া খুন: শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদের ৭ দিনের রিমান্ড 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২৫
চট্টগ্রামে জোড়া খুন: শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদের ৭ দিনের রিমান্ড  ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম: নগরের চকবাজার থানার বাকলিয়া এক্সরোড চন্দনপুরা অংশে প্রাইভেটকারে গুলি করে জোড়া খুনের ঘটনায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেনকে ৭ দিনের রিমান্ড  মঞ্জুর করেছেন আদালত।  

রোববার (১৩ এপ্রিল) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট  ইব্রাহিম খলিল আদালতে পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

 

এছাড়াও নগরের বায়েজিদ বোস্তামী, চান্দঁগাও, হাটহাজারী থানার আটটি মামলায় সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার (শ্যোন অ্যারেস্ট) দেখিয়েছেন আদালত।

চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, বাকলিয়া এক্সরোড চন্দনপুরা অংশে প্রাইভেটকারে গুলি করে জোড়া খুনের ঘটনায় আসামি সাজ্জাদ হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়।

আদালত শুনানি শেষে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।  

তিনি আরও বলেন, নগরের চান্দগাঁও থানার পাঁচটি, বায়েজীদ বোস্তামী থানার একটি এবং হাটহাজারী থানার হত্যা, চাঁদাবাজির দুইসহ মোট আটটি মামলায় সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।  

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মোট ১৩ জন সন্ত্রাসী ৬টি মোটরসাইকেল ব্যবহার করে এই পরিকল্পিত হামলা চালায়। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল বোয়াজিদ বোস্তামী এলাকার তালিকাভুক্ত অপরাধী সরওয়ার হোসেন বাবলা, যিনি শেষ পর্যন্ত প্রাণে বেঁচে যান। এ হামলার পেছনে দুটি উদ্দেশ্য ছিলবোয়াজিদ বোস্তামী ও আশপাশের এলাকার অপরাধীদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের লড়াই এবং শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন প্রকাশ ছোট সাজ্জাদের গ্রেপ্তারের প্রতিশোধ নেওয়া। নগরের বোয়াজিদ বোস্তামী এলাকার আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলী খান প্রকাশ শিবির সাজ্জাদ, যিনি বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করছেন, এই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী। হামলাকারীরা তিন কিলোমিটার জুড়ে ধাওয়া করে এই গুলির ঘটনা ঘটায়।

গত ১ এপ্রিল সন্ধ্যায় নগরের বাকলিয়া থানায় খুনের স্বীকার বখতেয়ার উদ্দিন মানিকের মা ফিরোজা বেগম বাদী হয়ে কারাবন্দী শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ ও তার স্ত্রীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় অন্য আসামিরা হলেন, সাজ্জাদের স্ত্রী শারমিন আক্তার তামান্না (৩৭), মোহাম্মদ হাছান (৩৬), মোবারক হোসেন ইমন (২২), খোরশেদ (৪৫), রায়হান (৩৫) ও বোরহান (২৭)।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ছোট সাজ্জাদ ও তার স্ত্রীর পরিকল্পনা অনুসারে আসামিরা গুলি করে মানিকসহ দু’জনকে হত্যা করেছে। ছোট সাজ্জাদকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। গত ১৫ মার্চ ঢাকার বসুন্ধরা থেকে সাজ্জাদকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, রোববার (৩০ মার্চ) গভীর রাতে নগরীর বাকলিয়া থানার রাজাখালী এলাকা থেকে একাধিক মোটরসাইকেলে থাকা সন্ত্রাসীরা প্রাইভেটকারকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে। প্রাইভেটকারটি বাকলিয়া এক্সেস রোড দিয়ে প্রবেশ করে চকবাজার থানার চন্দনপুরায় পৌঁছানের পর থেমে যায়। তখন বেপরোয়াভাবে গুলিবর্ষণ করে সন্ত্রাসীরা। এতে দু’জন নিহত ও দু’জন আহত হন। নিহতরা হলেন, বখতেয়ার হোসেন মানিক ও মো. আব্দুল্লাহ। আহতরা হলেন, রবিন ও হৃদয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬45 ঘণ্টা,এপ্রিল ১৩, ২০২৫
এমআই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।