চট্টগ্রাম: সুরত আলী ইলিশিয়া বাজার থেকে ১ লাখ ২৩ হাজার টাকায় কিনেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান গরুর বাছুর। নাম দিয়েছেন মহারাজ।
সুরত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের মেধাবী ছাত্র। অনার্সে প্রথম শ্রেণি পেয়েছেন। এখন সোহরাওয়ার্দী হলে থেকে মাস্টার্স করছেন। সবচেয়ে বড় কথা সুরত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। চোখের আলো না থাকা সুরত গরু লালন পালন করছেন একটি স্বপ্ন থেকে।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, জন্ম থেকে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হওয়ায় অনেক পরিশ্রম করতে হচ্ছে লেখাপড়া শিখতে। তিন বছর আগে ভাবছিলাম ভবিষ্যতে কী করবো। আমি তো চাইলে সবার মতো সব কাজ করতে পারবো না। চাইলে গার্মেন্টসে কাজ করতে পারবো না। যদি আমি গবাদি পশুর খামার করি তাহলে স্বাবলম্বী হতে পারবো। তাই পরীক্ষামূলকভাবে একটি গরু কিনে লালন পালন করছি।
বাকরুদ্ধ কণ্ঠে তিনি বলেন, গরু কেনার জন্য মায়ের ডিপিএস ভেঙে ৫০ হাজার টাকা, আমার শৈশব থেকে জমানো টাকা দিতে হয়েছে। গো খাদ্যের দাম, চিকিৎসা খরচ মিলে গড়ে প্রতিমাসে ৩০ হাজার টাকা খরচ। ইতোমধ্যেই প্রচুর ঋণ হয়ে গেছে এনজিওর কাছে। আমার সৌভাগ্য, গরুটি দেখাশোনার কাজটি মা বাবা ভাই বোনেরা করছেন। ছুটিতে চকরিয়ার পশ্চিম বড় ভেওলা ইলিশিয়ার গ্রামের বাড়িতে গেলে আমিই দেখাশোনা করি।
যদি গরুটি বিক্রি হয় কোরবানির পশুর হাটে ওই টাকায় মায়ের মুখে হাসি ফোটাতে পারবো, ঋণ শোধ করতে পারবো এবং নতুনভাবে ছোট্ট খামার শুরু করতে পারবো। জন্মটা সার্থক হবে- যোগ করেন মো. সুরত আলী।
এআর/টিসি