চট্টগ্রাম: পণ্যের মাননিয়ন্ত্রণ এবং আমদানি ও রফতানি বাণিজ্য সহজীকরণ ও দ্রুততার সাথে সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে আগ্রাবাদে অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরিসহ ১০তলা ভবন উদ্বোধন করা হয়েছে।
শনিবার (২৮ জুন) বিএসটিআইর নতুন বিভাগীয় কার্যালয় উদ্বোধন করেন ২০২৪ এর ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ফয়সাল আহমেদ শান্তর মা মোছাম্মৎ কহিনুর আক্তার।
বিশেষ বক্তা ছিলেন চট্রগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, শিল্প সচিব মো. ওবায়দুর রহমান, বিএসটিআইর মহাপরিচালক (গ্রেড-১) এস এম ফেরদৌস আলম, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম এবং গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শাহজালাল চৌধুরী।
মোছাম্মৎ কহিনুর আক্তার বলেন, শান্ত একটি সুন্দর, শোষণমুক্ত ও ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতো। সে চেয়েছিল এই দেশের প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হোক, প্রতিটি যুবকের মেধা ও শ্রমের সঠিক মূল্যায়ন হোক। আমার সন্তান যে লক্ষ্য পূরণে শহীদ হয়েছে, সেই লক্ষ্য যেন পূর্ণ হয়।
আমি একজন মা, একজন শহীদ জননী। আমার সন্তান আমাকে ছেড়ে চলে গেছে, কিন্তু তার আদর্শ, তার সংগ্রামী চেতনা, আমার হৃদয়ে চিরজাগরূক হয়ে থাকবে।
শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, বিএসটিআই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, শিল্প-বাণিজ্যের গতিশীলতা এবং ভোক্তা অধিকার সুরক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। আজ এ অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরিসহ ১০ তলা ভবন উদ্বোধনের মাধ্যমে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে আমদানি রপ্তানির ক্ষেত্রে গতিশীলতা বাড়বে। পর্যায়ক্রমে চট্টগ্রামে বিএসটিআইর ল্যাবরেটরিকে স্বয়ংসম্পূর্ণ ল্যাবরেটরি হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এর ফলে বিএসটিআইর সেবার জন্য চট্টগ্রামের মানুষকে ঢাকায় যাওয়ার প্রয়োজন হবে না।
এটি এ অঞ্চলের শিল্প-বাণিজ্যকে বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতায় এগিয়ে নেবে এবং ভোক্তা সুরক্ষাকে আরও শক্তিশালী করবে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
শিল্প সচিব বলেন, দেশের ভেতরে মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন এবং মান সম্পন্ন পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বিএসটিআই কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন দেশের সাথে পণ্যের মান বিষয়ক চুক্তি এবং ল্যাবরেটরিগুলোর অ্যাক্রেডিটেশন অর্জন বিএসটিআইকে আরো শক্তিশালী করেছে। এর ফলে বিদেশে বাংলাদেশি পণ্যের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে।
বিএসটিআইর মহাপরিচালক এসএম ফেরদৌস আলম বলেন, চট্টগ্রামে বিএসটিআইর অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরিসহ ১০ তলা ভবন উদ্বোধন একটি মাইলফলক। আমরা সব পণ্যের পরীক্ষা এবং সনদ এখান থেকে করতে চাই। এর ফলে এ অঞ্চলের ব্যবসায়ী ও সাধারণ ক্রেতারাও উপকৃত হবেন।
এআর/টিসি