ঢাকা, সোমবার, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ৬ লেন না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:৩২, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৫
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ৬ লেন না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি  ...

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়ক সরু ও ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে, ঝরে যাচ্ছে প্রাণ। দীর্ঘদিন ছয় লেন করার আশ্বাস মিললেও দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ না থাকায় ফের রাজপথে নেমেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

এই দাবিতে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) মানববন্ধন করেন তারা।

সোমবার বিকেলে নগরের চেরাগি পাহাড় মোড়ে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লেন বাস্তবায়ন পরিষদের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

এতে বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ অংশ নেন। মানববন্ধন থেকে দ্রুত সময়ে মহাসড়ক ছয় লেন করার পদক্ষেপ না নিলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মহাসড়কটি এখন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। দেশের অন্যতম ব্যস্ত এ সড়কটি অনেক জায়গায় পাড়ার গলির চেয়েও সরু। জাঙ্গালিয়ার মতো কিছু অংশ ঢালু ও আঁকাবাঁকা। আবার রাতে লবণের গাড়ি চলাচলের কারণে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়ে যায়। প্রতিটি দুর্ঘটনার পর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সড়ক প্রশস্ত করার আশ্বাস মিললেও বাস্তবে কোনো উদ্যোগ দেখা যায় না।

চট্টগ্রাম–কক্সবাজার ছয় লেন বাস্তবায়ন পরিষদের সমন্বয়ক মিনহাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন দৈনিক আমাদের সময়ের চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান হামিদ উল্লাহ, বিয়াজউদ্দীন বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক, পরিষদের সমন্বয়ক শফিকুল আলম, মুজিবুল হক, রুনা আনসারী, আইনজীবী জিয়াউর রহমান, আবু বক্কর সাবিত, ইফতেখার নূর তিশন, মিজানুর রহমান ও সাইমুম আল মুরাদসহ অনেকে।

বক্তারা আরও বলেন, দক্ষিণ চট্টগ্রামের সর্বস্তরের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে এ সড়কের উন্নয়নের দাবি জানাচ্ছেন। কিন্তু সরকার কেবল আশ্বাস দিলেও কাজের অগ্রগতি দৃশ্যমান নয়। এ অবস্থায় দ্রুত ছয় লেনের কাজ শুরু না হলে তাঁরা আরও বড় আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন।

এদিকে সোমবারও সকালে চন্দনাইশে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যাত্রীবাহী ঈগল পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় সিএনজি অটোরিকশায় থাকা বউ-শাশুড়ি নিহত ও ৮ জন আহত হয়েছে।  

এর আগে একই দাবিতে গত ৬ এপ্রিল নগরের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের পর প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছিল। এরপর ১১ এপ্রিল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের কাছেও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। তবে এতদিনেও বাস্তব কোনো পদক্ষেপ না থাকায় নতুন করে আন্দোলনে নামলেন এলাকাবাসী।

এমআই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।