ঢাকা, বুধবার, ১ আশ্বিন ১৪৩২, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে ২২০২ মণ্ডপে হবে দুর্গাপূজা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:১৬, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৫
চট্টগ্রামে ২২০২ মণ্ডপে হবে দুর্গাপূজা মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা পুলিশ সুপার

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের উদ্যোগে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে জেলা ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নগরের হালিশহর চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ লাইন্সে সিভিক সেন্টারে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব বক্তব্যে চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সানতু।  

এসময় তিনি বলেন, দুর্গাপূজা শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ঐতিহ্যের এক অনন্য প্রতীক।

 
পূজা উদযাপন সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদভাবে সম্পন্ন করার জন্য জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতির কথা তিনি তুলে ধরেন। সেইসঙ্গে উপস্থিত নেতৃবৃন্দকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন।  

সভায় জেলা ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা ছাড়াও জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সার্কেল অফিসার ও থানার অফিসার ইনচার্জরা উপস্থিত ছিলেন।  

এদিকে চট্টগ্রাম জেলায় প্রতিমা পূজামন্ডপের সংখ্যা এক হাজার ৫৮৫টি। এছড়া ঘট পূজার সংখ্যা ৬১৭টি। মোট পূজামন্ডপের সংখ্যা ২ হাজার ২০২টি। তার মধ্যে অধিক গুরুত্বপূর্ণ ৩৫৬টি ও গুরুত্বপূণ ৭১৬টি এবং সাধারণ এক হাজার ১৩০টি। এছাড়াও ১ হাজার ৫৮৫টি প্রতিমা পূজামন্ডপের মধ্যে স্থায়ী ৯৫০টি ও অস্থায়ী ৬৩৫টি। ১ হাজার ৫৮৫টি প্রতিমা পূজামণ্ডপের মধ্যে সিসি ক্যামেরা/আইপি ক্যামেরা রয়েছে সর্বমোট ১ হাজার ৪৪০টি পূজামন্ডপে।  

মতবিনিময় সভায় পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা, স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়। পুলিশ সুপার আশা প্রকাশ করেন যে, সকলের সম্মিলিত সহযোগিতায় এবারের শারদীয় দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ ও আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপিত হবে।  

সভায় বেশকিছু নির্দেশনা প্রদান করা হয়। সেইগুলো হলো, পূজা কমিটির ভেটিংকৃত স্বেচ্ছাসেবকদের তালিকা সংশ্লিষ্ট থানার ওসির কাছে জমা দেওয়া। প্রতিটি পূজা মণ্ডপে ডিভিআরসহ সিসিটিভি বা আইপি ক্যামেরা স্থাপন ও মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা। নির্দিষ্ট স্থানে ভলান্টিয়ারদের সহযোগিতায় গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা। প্রতিটি থানায় এবং পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা থাকবে। দ্রুত প্রতিক্রিয়ার জন্য থানাভিত্তিক বিশেষ টিম গঠন। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানতে পারে এমন দুষ্কৃতিকারীদের তালিকা পুলিশকে সরবরাহ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়ানো থেকে সতর্ক থাকা এবং সংশ্লিষ্ট লিংক দ্রুত মুছে ফেলা। পূজা উদযাপন পরিষদের কমিটি সংক্রান্ত বিরোধ দ্রুত মীমাংসা। পূজা মণ্ডপের সামনে ও পেছনে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা এবং বিদ্যুৎ চলে গেলে জেনারেটর বা চার্জার লাইট ব্যবহার নিশ্চিত করা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে সম্প্রীতি কমিটি গঠন করে সতর্কতা অবলম্বন। পূজা মণ্ডপের আশপাশে রাস্তা ও ফুটপাতের অবৈধ দোকান উচ্ছেদ এবং রাস্তায় গাড়ি পার্কিং বন্ধের ব্যবস্থা করা। পূজা উপলক্ষে কোনো মেলা বা অন্য অনুষ্ঠান আয়োজন নিরুৎসাহিত করা এবং নির্ধারিত সময়ে প্রতিমা বিসর্জন শেষ করা। এছাড়া যেকোনো পরিস্থিতিতে পুলিশ কন্ট্রোল রুমের ০১৩২০-১০৮৩৯৮ নম্বরে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানানো হয়।

এমআই /টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।