চট্টগ্রাম: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সাম্প্রতিক প্রকাশিত উচ্চ রক্তচাপ বিষয়ক দ্বিতীয় বৈশ্বিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বাংলাদেশ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। ২০১৯ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের কিছু অঞ্চলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের হার ১৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ওষুধের সুলভ ও নির্ভরযোগ্য প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা জরুরি।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) অনলাইনে আয়োজিত ‘বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: অগ্রগতি, বাধা এবং করণীয়’ শীর্ষক সাংবাদিক কর্মশালায় এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এই কর্মশালা আয়োজন করে গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই) এর সহযোগিতায়। কর্মশালায় চট্টগ্রাম বিভাগের প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার ২৪ জন সাংবাদিক অংশ নেন।
কর্মশালায় জানানো হয়, বাংলাদেশে মৃত্যু ও পঙ্গুত্বের প্রধান তিনটি কারণের একটি হলো উচ্চ রক্তচাপ। বক্তারা বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে বিনামূল্যে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ সরবরাহ ও এ খাতে বাজেট বৃদ্ধি করলে অসংক্রামক রোগ ও অকালমৃত্যু কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
এ ছাড়া কর্মশালায় জানানো হয়, অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের লক্ষ্যে সরকারের ৩৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সম্প্রতি একটি যৌথ ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেছে। এই উদ্যোগ উচ্চ রক্তচাপের প্রকোপ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন জিএইচএআই বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মুহাম্মাদ রূহুল কুদ্দুস এবং প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের। বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনা তুলে ধরেন প্রজ্ঞা’র কো-অর্ডিনেটর সাদিয়া গালিবা প্রভা।
এমআই/টিসি