ঢাকা, বুধবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ মে ২০২৪, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ঔদ্ধত্যপূর্ণ নাশকতা, নিষিদ্ধ করুন জামায়াতকে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৩
ঔদ্ধত্যপূর্ণ নাশকতা, নিষিদ্ধ করুন জামায়াতকে ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: জামায়াত-শিবিরের ঔদ্ধত্যপূর্ণ নাশকতা, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে পদযাত্রা ও সমাবেশ করেছে নাগরিক সংগঠন ‘রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ’।

শনিবার সকাল ১১টায় চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা হাতে পদযাত্রা শুরু হয়।

নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পদযাত্রাটি চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।

সমাবেশে বক্তারা সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, জামায়াত-শিবির একের পর এক ঔদ্ধত্যপূর্ণ দেখাচ্ছে।
তারা খুন, জখম, অগ্নিসংযোগসহ ব্যাপক নাশকতা চালাচ্ছে। তাদের ঔদ্ধর্ত্য সীমা ছাড়িয়ে গেছে। ঐদ্ধত্যপূর্ণ নাশকতার জন্য অবিলম্বে তাদের নিষিদ্ধ করুন।

সমাবেশে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন শহীদ জায়া বেগম মুশতারি শফি। তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৪২ বছর পর একাত্তরের মানবতা বিরোধী অপরাধীদের বিচার হয়ে সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকর হয়েছে। এটি জাতির বহুদিনের কলংক ও দায়মোচনের ঐতিহাসিক ঘটনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।

মুশতারি শফি বলেন, স্বাধীনতার ৪২ বছরেও যুদ্ধাপরাধে লিপ্ত দল জামায়াত দেশেদ্রোহিতা ও মানবতা বিরোধী অপরাধের জন্য নিজেদের দোষ স্বীকার করেনি, ভুল সংশোধনেরও চেষ্টা করেনি। তারা এখনও একই কায়দায় ইসলামের নামে সরলপ্রাণ, ধর্মভীরু মানুষকে বিভ্রান্ত করছে, দেশের সর্বত্র খুন-জখম-অগ্নিসংযোগসহ ব্যাপক নাশকতা চালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, তারা ভুল ও দোষ স্বীকারের পরিবর্তে আজ রাষ্ট্র, জনগণ, গণতন্ত্র ও মানবতার বিরুদ্ধে পুনরায় ঔদ্ধত্যপূর্ণ নাশকতায় লিপ্ত রয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক রাজনীতির মূলধারায় না এসে তারা সেই একাত্তরের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।

তিনি বলেন, সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এদেশের সকল মানুষের নাগরিক দায়িত্ব। ষড়যন্ত্র, বিভ্রান্তি, নাশকতা, যুদ্ধাপরাধ, সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গীবাদ ও অমানবিক আচরণের বিরুদ্ধে আমাদের জোটবদ্ধ হয়ে  বলতে হবে-রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ।

সমাবেশে কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার ফাঁসি হওয়ায় ইতিহাসের দায়মুক্তি হয়েছে। বাংলাদেশ কলংকমুক্ত হওয়ার পথে এগিয়ে গেছে। এখন সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে সকল যুদ্ধাপরাধীর শাস্তি যাতে কার্যকর হয় সেই লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। জামায়াত ইসলামীকে যাতে অবিলম্বে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় আমরা সেই দাবি অব্যাহত রাখব। ’

সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিপিবি’র কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য মো.শাহআলম, উদীচী’র কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ডা.চন্দন দাশ, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার মজুমদার, কবি ও সাংবাদিক কামরুল হাসান বাদল, গণজাগরণ মঞ্চের সমন্বয়কারী ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী তরুণ উদ্যোগের আহ্বায়ক শরীফ চৌহান, প্রমা আবৃত্তি সংগঠনের সভাপতি রাশেদ হাসান, উদীচী চট্টগ্রাম জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক সুনীল ধর, সাংস্কৃতিক সংগঠক সলিল চৌধুরী ও অনুপ বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশের পর উদীচী চট্টগ্রাম জেলা সংসদের শিল্পীরা গনসঙ্গীত এবং প্রমা’র শিল্পীরা আবৃত্তি পরিবেশন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪,২০১৩

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।