ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

অভিযোগ গঠনের শুনানি আবারও পেছাল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৪
অভিযোগ গঠনের শুনানি আবারও পেছাল

চট্টগ্রাম: বিদেশি কুকুর লেলিয়ে দিয়ে নির্মমভাবে মেধাবী ছাত্র হিমাদ্রি মজুমদার হিমু হত্যা মামলায় আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের সময় আবারও পিছিয়েছে। এ নিয়ে চতুর্থ দফা অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছাল।



আদালত আগামী ২ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ গঠনের শুনানির পরবর্তী সময় নির্ধারণ করেছেন। এদিকে সোমবার শুনানির নির্ধারিত দিনে হাজির না থাকায় জাহিদুল ইসলাম শাওন নামে এক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।


সোমবার চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত মহানগর দায়রা জজ (প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ) আব্দুর রশিদ এসব আদেশ দেন।

মহানগর দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ বাংলানিউজকে জানান, শাওন উচ্চ আদালত থেকে ছয় মাসের জামিনে ছিলেন। গত ৮ জানুয়ারি এ জামিন আদেশের মেয়াদ শেষ হয়। শাওন আদালতে উপস্থিত না থাকায় এবং সময়ের আবেদন না করায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

এদিকে অন্য তিন আসামি জুনায়েদ আহমদ রিয়াদ, রিয়াদের বাবা শাহ সেলিম টিপু এবং শাহাদাত হোসেন সাজুর পক্ষে আইনজীবীরা সময়ের আবেদন করেন। মামলার শুরু থেকেই আরেক আসামি মাহবুব আলী ওরফে ড্যানি পলাতক আছেন।

এ নিয়ে চতুর্থবারের মত এ মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছাল।

এর আগে গত ১৭ ও ২৮ নভেম্বর এবং সর্বশেষ ১৬ জানুযারি তিন দফা অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়ে যায়।

এলাকায় মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করায় ২০১২ সালের ২৭ এপ্রিল নগরীর পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার ১ নম্বর সড়কের ‘ফরহাদ ম্যানশন’ নামের ১০১ নম্বর বাড়ির চারতলায় হিমুকে হিংস্র কুকুর লেলিয়ে দিয়ে নিমর্মভাবে নির্যাতন করে সেখান থেকে ফেলে দেয় অভিজাত পরিবারের কয়েকজন বখাটে যুবক।  

গুরুতর আহত হিমু ২৬ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ২৩ মে ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান। হিমু পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার ১ নম্বর সড়কের ইংরেজি মাধ্যমের সামারফিল্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের ‘এ’ লেভেলের শিক্ষার্থী ছিল।

এ ঘটনায় হিমুর মামা প্রকাশ দাশ অসিত বাদি হয়ে পাঁচলাইশ থানায় পাঁচজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। আসামীরা হলেন, ধনাঢ্য ব্যবসায়ী শাহ সেলিম টিপু, তার ছেলে জুনায়েদ আহমেদ রিয়াদ এবং রিয়াদের তিন বন্ধু শাহাদাৎ হোসাইন সাজু, মাহাবুব আলী খান ড্যানি এবং জাহিদুল ইসলাম শাওন।

মামলা দায়েরের এক মাসের মাথায় আসামী শাহাদাৎ হোসাইন সাজুকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ২০১২ সালের ১০ অক্টোবর শাহ সেলিম টিপু ও ছেলে রিয়াদ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠান। কিন্তু পরবর্তীতে তিনজনই জামিন পেয়ে কারাগার থেকে বেরিয়ে যান।

এদিকে ওই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পাঁচলাইশ থানা পুলিশ ওই মামলায় এজাহারভুক্ত পাঁচজন আসামীকে অন্তর্ভুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। ১৮ অক্টোবর পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন চট্টগ্রাম মুখ্য মহানগর হাকিম।  

ওই আদালত থেকে বিচারের জন্য প্রস্তুত হয়ে মামলাটির নথি নভেম্বরের শুরুতে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে আসে। এরপর আদালত চার দফা অভিযোগ গঠনের সময় নির্ধারণ করেন। কিন্তু কখনও রাষ্ট্রপক্ষের সময়ের আবেদন, কখনও আসামীপক্ষের সময় প্রার্থনা আবার কখনও হরতালের কারণে পিছিয়ে যাচ্ছে শুনানি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭,২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।