ঢাকা, শুক্রবার, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২৭ জিলহজ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘স্বার্থ ঠিক রেখেই ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বাড়াতে হবে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০১৪
‘স্বার্থ ঠিক রেখেই ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বাড়াতে হবে’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: নিজেদের স্বার্থ ঠিক রেখেই ভারতের সঙ্গে সুম্পর্ক বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, আমাদের নিজেদের স্বার্থেই ভারতে সঙ্গে সুসম্পর্ক, গঠনমূলক অংশীদারিত্ব ও যোগাযোগ বাড়াতে হবে।



দেশে মানুষ অনেকদিন মনে করেছে- বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ভারতের সোল এজেন্সি নিয়েছে। স্বাধীনতা যুদ্ধে ধাত্রীর ভূমিকায় ছিল ভারত।
কয়েক হাজার ভারতীয় সৈন্য মারা গেছে। তাই বলে সব স্বার্থ বিসর্জন দেব তা নয়। কখনো হয়নি। ভবিষ্যতেও এমন হবে না। ”
 
বুধবার নগরীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ-ভারত যোগাযোগ: সম্ভাবনা ও সমস্যা’’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চিটাগাং চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (সিসিসিআই) এবং ঢাকাস্থ ভারতীয় দূতাবাস যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙ্গে দিতে হবে মন্তব্য করে যোগাযোগ মন্ত্রী আমাদের মধ্যে রি-অ্যাকটিভ নয় প্রো-অ্যাকটিভ ডিপ্লোমেসি দরকার। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে অবিশ্বাস সন্দেহ আছে। অবিশ্বাসের এ দেয়াল ভেঙ্গে দিতে হবে। সুসম্পর্ক ও গঠনমূলক কূটনীতি দিয়ে জনগণ-জনগণ সম্পর্ক বাড়াতে হবে।

বতর্মান প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় আসার পর থেকে বাংলাদেশের জমি ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে দেয়া হয়নি বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে ভারতে সন্ত্রাস চলতে পারে না। কিছু স্পর্শকাতর বিষয় আছে। চ্যালেঞ্জ-ক্রাইসিস থাকবে। সেগুলো পেরিয়ে আসতে হবে।

“মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকে ভেবেছিল আওয়ামী লীগ-কংগ্রেস সুসম্পর্ক। নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর তা থাকবে না। নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসায় পর সম্পর্কে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি যোগ হয়েছে। ভারতের বর্তমান সরকার তিস্তার পানি বন্টনে সম্মত হয়েছে। স্থলসীমান্ত চুক্তি শীঘ্রই অনুমোদন হয়ে যাবে। ”

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত পঙ্কজ শরণ বলেন, ৭১ থেকে একসাথে আমরা অনেক পথ পেরিয়েছি। সম্পর্কে এখনও কিছু জটিলতা আছে। অর্থনৈতিকভাবে আমাদের এখন একসাথে এগুতে হবে।

“যে কোনো ধরণের কানেকটিভিটির জন্য ভারত সব ধরণের উদ্যোগ নিতে প্রস্তুত জানিয়ে তিনি বলেন, সীমান্তে অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যবসায়ীদের সচেতনতা আমাদের সক্রিয় হতে বাধ্য করবে। ”

মানসিক ঐক্য এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, কিভাবে একসঙ্গে কাজ করা যায় এবং এগিয়ে ‍যাওয়া যায় তা নির্ধারণ করতে হবে। বাণিজ্য ঘাটতি মেটাতে ভারত রাজনৈতিকভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ।

অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মঈনুল ইসলাম।

সিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাংসদ এম এ লতিফ ও ত্রিপুরা চেম্বারের সভাপতি এম এল দেবনাথ।

আলোচনায় অংশ নেন একে খান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাউদ্দিন কাশেম খান, জাপানের অনারারি কনসাল নুরুল ইসলাম, সিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি মীর্জা আবু মনসুর প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়:১৮২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৪

** চট্টগ্রাম থেকে টেকনাফের ১০ সেতু উদ্বোধন

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।