চট্টগ্রাম: দেশে এখন রাজনৈতিক কর্মী না থাকলেও নেতার বাম্পার ফলন হয়েছে মন্তব্য করে সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশে এখন কর্মী উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। সবাই নেতা।
বুধবার নগরীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, উদ্বোধনে নয় আমি কাজে বিশ্বাসী। “উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হলে একটি সেতু উদ্বোধন করতেই একদিন লাগত। মাইক বেঁধে বক্তৃতা চলত। সবাই বক্তৃতা দিতে চায়। সবাইকে বলার সুযোগ দিতে হবে। কাউকে বলতে না দিলে চেহারা এমন হয় যেন ছেলে-মেয়ে মারা গেছে। ”
‘কাগজে নাম লিখলে থাকবে না। পাথরে লিখলে ঝাপসা হয়ে যাবে। কাজ দিয়ে মানুষের অন্তরে নাম লেখাতে হবে। মন্ত্রী আসলে সামনে এক হাজার হোন্ডার মিছিল। ভাবখানা এমন যেন- আমি কি হনু রে। কেন এ অপচয়। এ সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ’
ওবায়দুল কাদের বলেন, মন্ত্রীর পেছনে মানুষ ছুটবে কেন? মন্ত্রীকে জনগণ কেন খুশি করবে? জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। এখন মন্ত্রীর কাজ দায়িত্ব পালন করে জনগণকে খুশি করা।
চট্টগ্রামে বিলবোর্ড উচ্ছেদ কার্যক্রমের উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমি জানি বিলবোর্ড ব্যবসা কারা করে। আগে তারা আমার সাথে দেখা করত। এখন দেখা করে না।
এ জীবনে যত ফুল পেয়েছি এসব ফুলে ভালোবাসা কম। প্রত্যেক ফুল আর তোরণের পেছনে স্বার্থ। প্রত্যেক ব্যানারে সৌজন্য। সামনে দেখতে একরকম। আল্লাহর কি কুদরত ডিজিটাল ব্যানার। ব্যানারে দেখতে আরেক রকম। চেনা যায় না। ”
রাজনীতিবিদরা ভালো হলে, সঠিক পথে হাটলে দেশটা ভালো হয়ে যেত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
চিটাগাং চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (সিসিসিআই) এবং ঢাকাস্থ ভারতীয় দূতাবাস যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারের বিশেষ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত পঙ্কজ শরণ।
সিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাংসদ এম এ লতিফ ও ত্রিপুরা চেম্বারের সভাপতি এম এল দেবনাথ।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৪
** ‘স্বার্থ ঠিক রেখেই ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বাড়াতে হবে’