চট্টগ্রাম: রাজনৈতিক ‘গুরু’ এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে সড়ক নামকরণের ঘোষণা দিয়েছেন তার ‘শিষ্য’ চট্টগ্রাম সিটি মেয়র এম মনজুর আলম। বুধবার দুপুরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর কমান্ড ইউনিটের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ ঘোষণা দেন তিনি।
এসময় তিনি বলেন,‘সাবেক সিটি মেয়র ১৭ বছর দায়িত্বপালন করেছেন। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাও।
সিটি মেয়র বলেন,‘ইতোমধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের গৃহকর মুওকুফ করা হয়েছে। ঈদগাঁ কাঁচা রাস্তার চৌরাস্তায় মুক্তিযোদ্ধা স্মরণী নির্মাণ করা হবে। হালিশহর সড়কটিও মুক্তিযোদ্ধা সড়ক হিসেবে নামকরণ করা হবে। সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও একজন নাতি-নাতনিকে অবৈতনিক শিক্ষার সুযোগ দেয়া হবে। ’
মেয়র এম মনজুর আলম বলেন,‘‘সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে নগরীতে তিনশ মুক্তিযোদ্ধার জন্য মুক্তিযোদ্ধা আবাসন গড়ে তোলা হবে। ’
২০১০ সালে প্রথমবারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন এম মনজুর আলম। এর আগে ১৯৯৪ সাল থেকে তিন দফায় টানা ১৭ বছর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সেসময়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকা মনজুর।
কাউন্সিলর থাকাকালে তৎকালিন মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল মনজুর আলমের। চট্টগ্রামের রাজনীতিতে ‘গুরু-শিষ্য’ হিসেবে পরিচিতি এ দুইজন। তার উপর আস্থা রেখে মহিউদ্দিন চৌধুরী তাকে ৩২ বার ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব দেন।
২০০৭ সালে বহুল আলোচিত ওয়ান ইলেভেনের সময় মহিউদ্দিনকে কারাগারে নেওয়া হলে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পান এম মনজুর আলম। প্রায় ১৮ মাস দায়িত্ব পালনকালে এম মনজুর আলমের সঙ্গে মহিউদ্দিন চৌধুরীর দূরুত্ব তৈরি হয়।
২০১০ সালের ১৭ জুন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি’র সমর্থন নিয়ে রাজনৈতিক গুরু মহিউদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে ৯৫ হাজার ৫২৮ ভোটে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন মনজুর আলম।
২০১২ সালের ৪ জুলাই মেয়র এম মনজুর আলমকে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৪