চট্টগ্রাম: মিরসরাই মুক্তিযোদ্ধা উপজেলা কমান্ডের উদ্যোগে সোমবার দিনব্যাপী কর্মসূচির মাধ্যমে মিরসরাই হানাদার মুক্ত দিবস পালন করা হয়।
সকাল ১১টায় জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।
এ উপলক্ষ্যে মিরসরাই উপজেলা সদর থেকে শুরু হওয়া র্যালীতে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফ হোসেন, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ উদ্দীন ভূঁইঞা, জেলা কমান্ডার মো. সাহাবউদ্দীন, উপজেলা কমান্ডার কবীর আহমেদ, ডেপুটি কমান্ডার আবুল হাশেম, সাংগঠনিক কমান্ডার ফজলুল করিম, জেলা সহকারি কমান্ডার (দপ্তর) এ.কে.এম. আলাউদ্দীন, উপজেলা সহকারি কমান্ডার (সাহিত্য) কামাল উদ্দীন, ৯নং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা জাফর আহমেদ চৌধুরীসহ বিপুল সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা।
র্যালী শেষে মুক্তিযোদ্ধারা সহ উপস্থিত সকলে শহীদ মিনারে পুষ্প মাল্য অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
র্যালীর পর উপজেলা কমান্ডার কবীর আহমেদ সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় জেলা কমান্ডার মো. সাহাবউদ্দীন বলেন, ১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর দুপুর ২টার সময় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী মিরসরাই থানা মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে পরাস্ত হয়ে পিছু হঠতে বাধ্য হয়। তখন হানাদার বাহিনী মিরসরাই থেকে সীতাকুন্ডের দিকে চলে যায়। আর মিরসরাইয়ে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করা হয়।
সভায় মিরসরাইয়ে অনেকগুলো বধ্যভূমি, সম্মুখ যুদ্ধ স্থান, শহীদদের কবর থাকলেও কোন স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করা হয়নি বলে মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এসময় মুক্তিযোদ্ধারা স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনের জন্য দাবি জানান। একইসঙ্গে নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অনুপ্রাণিত করতে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তুলে ধরার দাবি জানান।
এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফ হোসেন মিরসরাইয়ে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন সর্ম্পকে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিতকরণ এবং দিবসটি প্রশাসনিকভাবে পালনের আশ্বাস দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৪