চট্টগ্রাম: নগরীর লালখান বাজার এলাকায় একটি সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে দ্রুত সরে পড়লেন উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও কোষাধ্যক্ষ এসএম ফজলুল হক, হাটহাজারী উপজেলা চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলমসহ বেশ কয়েকজন নেতা।
তড়িঘড়ি করে সংবাদ সম্মেলন শেষ করে দুপুরের খাবারে অংশ নিয়েও তা শেষ করতে পারেনি নেতা-কর্মী ও আমন্ত্রীতরা।
নগরীর পাঁচলাইশ এলাকায় কিং অব চিটাগাং কমিউনিটি সেন্টারে প্রতিনিধি সভার অনুমতি না দেওয়ায় মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে উত্তর জেলা বিএনপির একাংশ।
নগরীর লালখান বাজার এলাকায় একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল হাসান।
এদিকে একই সময়ে দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনের সামনে উত্তর জেলা বিএনপির আওতাধীন উপজেলা ও পৌর বিএনপির গঠিত আহ্বায়ক কমিটির পরিচিতি ও প্রতিনিধি সভা করেন উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসলাম চৌধুরী।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নগরীর পাঁচলাইশ এলাকায় দ্যা কিং অব চিটাগাং কমিউনিটি সেন্টারে গঠিত আহ্বায়ক কমিটির পরিচিতি ও প্রতিনিধি সভার আয়োজন করে উত্তর জেলা বিএনপি। নিয়ম অনুযায়ী পুলিশের সংশ্লিষ্ট দফতরে সভার অনুমতির আবেদন করে। কিন্তু সোমবার বিকেলে পুলিশের পক্ষ থেকে সভার অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে জানানো হয়।
আব্দুল্লাহ আল হাসান বলেন, সভার অনুমতি না দেওয়ার প্রতিবাদে নগরীর পিটস্টপ রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করি আমরা। সংবাদ সম্মেলন শেষ হওয়ার পর হঠাৎ করে পুলিশ এসে সবাইকে দ্রুত চলে যেতে বলেন। না হলে গ্রেফতারের ভয় দেখান।
তিনি বলেন, অনেকেই খাচ্ছিলেন। তাদেরকে পর্যন্ত খাবার শেষ করতে দেননি। ফলে খাবারের প্লেট রেখে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে।
এদিকে যৌথভাবে সভা আহ্বানের কথা বলা হলেও উত্তর জেলা বিএনপির দুই নেতার বক্তব্য দুই ধরণের।
আহ্বায়ক আসলাম চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, সভার অনুমতি না দেওয়ায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে সভা করেছি। তাই সংবাদ সম্মেলনের প্রয়োজন নেই বলেছিলাম। তাই আমি আর যাইনি।
সাংবাদিক বলে:
উত্তর জেলা বিএনপির ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন করা হলেও আহ্বায়ক উপস্থিত না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, আহ্বায়ক থাকার কথা ছিল। ঝামেলা হয়ে যাওয়াতে তিনি আসেননি।
উভয়ের দ্বন্দ্বের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে কোন মতপার্থক্য নেই। তবে একটু পরেই তিনি বলেন, একটা বিষয়ে আমাদের দ্বন্দ্ব আছে। আপনি যেহেতু সাংবাদিক তাই লুকাতে পারি না।
তার দাবি দলে ত্যাগিদের নিয়ে আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পর পাল্টা কমিটি করেন আসলাম চৌধুরী। তার কমিটিতে স্থান পায় তারা, যাদের সঙ্গে দলের কর্মীদের কোন সম্পর্ক নেই।
বিষয়টি দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার জানেন। ম্যাডাম বলেছেন এ ধরণের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আসলাম চৌধুরী সরাসির কোন মন্তব্য না করে বলেন, প্রত্যেক দলে সমস্যা থাকে। তবে আমার কাছে এসবকে কোন সমস্যা বলে মনে হয় না।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৪