ঢাকা, বুধবার, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ০৩ জুলাই ২০২৪, ২৫ জিলহজ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মানব পাচারের নিয়ন্ত্রক গডমাদার মানাংকি

তপন চক্রবর্তী ও রমেন দাশগুপ্ত | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০১৪
মানব পাচারের নিয়ন্ত্রক গডমাদার মানাংকি ছবি: ফাইল ফটো

কক্সবাজার থেকে: সমুদ্রপথে মানব পাচারকারী চক্রের অন্যতম নিয়ন্ত্রক হিসেবে মানাংকি নামে এক মহিলার তথ্য পেয়েছে পুলিশ। ওই মহিলা থাইল্যান্ডে বসে বাংলাদেশ-মায়ানমার-থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়াজুড়ে মানব পাচারের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছেন বলেও তথ্য পেয়েছে পুলিশ।



পুলিশের কাছে তথ্য আছে, পাচারকারী চক্রের মধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানের কমপক্ষে ৫০০ থেকে ৭০০ দালাল আছে। আর সমুদ্রে বাংলাদেশি ২০-২৫ জন মাঝি আছে যারা মানব পাচারের কাজে ব্যবহৃত ট্রলারগুলো নিয়ন্ত্রণ করে।
এছাড়া সমুদ্রপথে থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার সীমান্তে সেই দেশগুলোর একাধিক দালালচক্রও মানবপাচারে সক্রিয় আছে।

মানব পাচার প্রতিরোধে গঠিত কমিটি চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ ও কক্সবাজার জেলা পুলিশের কাছ থেকে এসব তথ্য পেয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। কক্সবাজারে ঘুরে বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সূত্রের সঙ্গে কথা বলেও পাওয়া গেছে এ সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য।

পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার সম্প্রতি মানব পাচার প্রতিরোধে তথ্য সংগ্রহ ও সুপারিশমালা প্রণয়ন করতে এ কমিটি গঠন করেন।

কমিটিতে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) বনজ কুমার মজুমদারকে প্রধান করা হয়েছে। কমিটিতে আছেন চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাইমুল হাছান ও তোফায়েল আহমেদ। এছাড়া চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সহকারি কমিশনার (সদর) নিয়াজ মোহাম্মদ কমিটিতে সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

মানব পাচারকারী চক্র নিয়ে কমিটির পাওয়া তথ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) বনজ কুমার মজুমদার বাংলানিউজকে বলেন, অনেক তথ্যই আমরা পাচ্ছি। সব তথ্য যাচাইবাছাই করা হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে অনুসন্ধানের মাধ্যমে সব তথ্যের সত্যতা যাচাই করে তারপর প্রতিবেদন তৈরি করা হবে।

মানব পাচারকারী চক্রের হোতা মানাংকি
মানব পাচার নিয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে কক্সবাজার জেলা পুলিশ মানাংকি নামে এক মহিলার তথ্য পায়। সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, পেশাদার অপরাধী মানাংকি মালয়েশিয়ার বংশোদ্ভূত। থাকেন থাইল্যান্ডে। সেখানে বসেই মানাংকি মানব পাচারের সুবিশাল নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছেন।

মানাংকির সঙ্গে একই চক্রে মং (৩৮) এবং নে (৩৫) নামে থাইল্যান্ডের দুই নাগরিক আছে। মং থাইল্যান্ডের পোকাড় জেলার রোনাঙ থানার রোনাং এলাকার মৃত খানসো’র ছেলে। আর নে একই এলাকার চে’র ছেলে।

এছাড়া আব্দুল গফুর (৪৫) নামে ‍মায়ানমারের এক নাগরিকও এ চক্রে জড়িত বলে তথ্য পেয়েছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ। গফুর মায়ানমারের চট্ট জেলার চট্টবার পাড়ার আব্দুল মাবুদের ছেলে।

চলতি বছরের ১২ জুন টেকনাফ মডেল থানায় দায়ের হওয়া মানব পাচার প্রতিরোধ আইনের একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামী মং, নে ও আব্দুল গফুর। মূলত ওই মামলার তদন্তেই মানাংকির বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
 
তবে মানাংকির বিষয়ে অনুসন্ধানে এখনও বিস্তারিত কোন তথ্য পায়নি কক্সবাজার জেলা পুলিশ। এ কারণে মানাংকির বিষয়ে তারা মুখ খুলতে নারাজ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার শ্যামল কান্তি নাথ বাংলানিউজকে বলেন, মানব পাচারের ঘটনায় আমরা যাদের আটক করি তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে চক্রের নিয়ন্ত্রক সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য পাই। এ ধরনের বিভিন্ন তথ্য নিয়ে চক্রের নিয়ন্ত্রকদের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। সুনির্দিষ্টভাবে কাউকে দায়ি করে তথ্য দেয়ার জন্য আমাদের আরও একটু গভীরে গিয়ে তদন্ত করতে হবে।

চট্টগ্রামে আছে ১০৮ জন
মানাংকির নেটওয়ার্কের ১০৮ জন মানব পাচারকারীর বিষয়ে চট্টগ্রাম নগরী ও জেলা পুলিশের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য আছে। ২০১২ সাল থেকে ২০১৪ সালের জুলাই পর্যন্ত বাঁশখালী, আনোয়ারা, মিরসরাই, বোয়ালখালী, সীতাকুণ্ড, চান্দগাঁও, বাকলিয়া, পাঁচলাইশ থানায় দায়ের হওয়া বিভিন্ন মামলার তদন্তে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ১০৮ জনের নাম যুক্ত হয়েছে মানব পাচারকারীর তালিকায়।

এরা হল, আবুল খায়ের (৫৫), শোয়েবুল ইসলাম (৩২), সাহাব উদ্দিন (৪২), আব্দুর রহমান (৪০), আবুল কাশেম(৪৫), কামাল (৩২), আব্দুল হাকিম ওরফে আব্দুল হক (৩০), লোকমান (৪০), জসিম (৩৫), এমরান (৩৭), আমজাদ (৩৫), শহিদ (৩৫), লালন (৩৫), মজিদ (৪০), মোহন মেম্বার (৪৫), সাইদ (৪৫), শরীফুল ইসলাম (৩০), মানিক (৩২), কাশেম, জামাল, চাঁন বাদশাহ, মিজান, এরফান ওরফে রনি, আরিফ ওরফে সোলেয়মান, হাবীব, নাজিম, নজরুল, নুর ইসলাম, ইমরান, আল আমিন, শহীদ, সিরাজ, আহাম্মদ, আবদুল্লাহ, মানিক, জামাল ওরফে জিয়া, এরফান ওরফে রনি, মিজান, চাঁন্দ বাদশা, নাজিম, হাবিব, কবির ওরফে জাকির, আল আমিন, নজরুল ইসলাম (শিপন), নুর ইসলাম, আবদুল্লাহ, সিরাজ, আহাম্মেদ, হান্নান, মুছা, আফসানা আক্তার (আঁখি), রহমান, আরিফ, দেলোয়ার, মুছা, কায়সার, আকাশ, মিশু মিয়া (২০), শারমিন শাহা (১৮), সওকত আলী (৩৫), ছোলাইমান (২৮), শাহজালাল (২০), রাসেল (২৪), ফারুক মিয়া (২৫), সোলতান (২০), সোহেল রানা (১৯), খোকা মিয়া (৪০), দাউদ মিয়া (৪২), দানা মিয়া (৩৫), আলতাব হোসেন (৪২), আনোয়ার হোসেন (২৫), রমজান মিয়া (৩৫), গুলজার হোসেন (২৫), কামাল (২৮), রাসেল (১৮), জজ মিয়া (৪২), দীন ইসলাম (২৯), কফির উদ্দীন (২৫), সুমন মিয়া (২৫), বেলায়েত হোসেন (৪১), তারা মিয়া (৪০), রুবেল (২৪), রবি (২৭), সাইফুল (২৮), খসরু (২২), মাসুদ মিয়া (২৫), মাইনুদ্দীন (২২), অলি উল্লাহ (১৮), শাহ আলম (৩০), আবুল হোসেন (২০), ইউসুফ মিয়া (২৫), আলামিন (২০), সোনা মিয়া (২৪), তাজউদ্দীন (২৮), হারুন অর রশিদ (২৬), রুবেল (২২), নওশাদ খোরশেদ (২৮), জাহেদ (৩০), বেলাল, চাঁনমিয়া, শামছু, জালাল (৩২), জকু মাঝি (৪২), আহছান মাঝি (৪৫), রানা (২৬) এবং কামরুল (৩৩)।

তবে মানব পাচার প্রতিরোধে গঠিত কমিটি এই ১০৮ জনের বাইরে আরও কারা কারা এ অপরাধের সঙ্গে যুক্ত তার বিষয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধান চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

কক্সবাজারে ৫০০ দালাল
অনুসন্ধানে জানা গেছে, কক্সবাজারের বিভিন্ন থানায় মানব পাচারের অভিযোগে ২০১৪ সালের জুলাই পর্যন্ত মামলা হয়েছে ২০৩টি। দালাল গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩৪০ জন। ভিকটিম উদ্ধার করা হয়েছে দুই হাজার ৩৩৯ জন।

কক্সবাজার জেলা পুলিশ তদন্তে পেয়েছে বাংলাদেশ থেকে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া মানব পাচারের পথটি বের করেছেন তাজুর মুল্লুক নামের এক জেলে। তার বাড়ি কক্সবাজারের টেকনাফে।

তাজুর মুল্লুকের দেখানো পথ ধরে সমুদ্রপথে এখন কক্সবাজারের ২০ থেকে ২৫ জন মাঝি আছে যারা সরাসরি মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত। তারাই ট্রলারে পাচারের শিকার ব্যক্তিদের তুলে গভীর সমুদ্র পাড়ি দেয়। আর এই মাঝিদের নিয়ন্ত্রণে আছে টেকনাফ, উখিয়া, পেকুয়া, কক্সবাজার, চকরিয়া, মহেশখালী, রামু, জয়পুরহাট, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া, যশোর, নরসিংদি, কুমিল্লা, নোয়াখালী, পঞ্চগড়, ঝিনাইদহ, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, মাদারিপুর ও যশোরসহ বিভিন্ন স্থানের প্রায় ৫০০ দালাল।

এসব দালালের মধ্যে আবার ৮৬ জন সরাসরি নেতৃত্বদাতা বলে তথ্য আছে পুলিশের কাছে। এদের মধ্যে টেকনাফের ২৩ জন, উখিয়ার ১৫ জন, পেকুয়ার ১ জন, কক্সবাজার সদরের ১ জন, রামু’র ২ জন, জয়পুরহাটের ২ জন, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার ১ জন, যশোরের ২ জন, নরসিংদির ১৫ জন, কুমিল্লার ৭ জন, নোয়াখালীর ১ জন, পঞ্চগড়ের ১ জন, ঝিনাইদহের ৪ জন, মুন্সিগঞ্জের ১ জন, নারায়নগঞ্জের ২ জন, কিশোরগঞ্জের ২ জন, সিরাজগঞ্জের ২ জন, মাদারিপুরের ১ জন এবং যশোরের ৩ জন।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার শ্যামল কান্তি নাথ বাংলানিউজকে বলেন, মানব পাচার প্রতিরোধে আমরা নিয়মিত অভিযান চালাই। অভিযানে যারা দালাল হিসেবে আটক হয় তাদের বিষয়ে আমরা তথ্য সংগ্রহ করি। তাদের কাছ থেকে পাওয়া বিভিন্ন তথ্য নিয়ে আমরা তদন্ত অব্যাহত রাখি।

কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে মানব পাচারকারীদের রুট
অনুসন্ধানে ‍জানা গেছে, কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার কাটাবুনিয়া, কচুবুনিয়া, খুরারমুখ, বাহারছড়া, সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ, উখিয়া উপজেলার সোনাইছড়ি, রেজুয়াখালের মুখ, চেপটখালী, মাদারবুনিয়া, মনখালী, মোহাম্মদ শফির বিল, ইনানী, চরপাড়া, পাইন্যাশিয়া, চোয়াংখালী, রূপবর্তী, কুতুবদিয়া উপজেলার তাজিয়াকাটা, নয়াপাড়া, সোনাদিয়া, দক্ষিণপাড়া, গড়িভাঙ্গা, বটতল, ধলঘাটা, সুতরিয়া, মাতারবাড়ি, সাইরার ডেইল, কক্সবাজার সদরের চৌফলদন্ডী, নাজিরার টেক, কস্তুঘাট এলাকাকে মানব পাচারকারীরা ‍রুট হিসেবে ব্যবহার করে বলে তথ্য আছে কক্সবাজার জেলা পুলিশের কাছে।

আর চট্টগ্রাম থেকে মানব পাচারকারীরা বাঁশখালী সমুদ্র উপকূল, সীতাকুণ্ড থেকে টেকনাফ, ঘাটকূল-গহিরা-আনোয়ারা হয়ে বন্দরের বর্হিনোঙ্গর, পতেঙ্গা উপকূলীয় এলাকাকে রুট হিসেবে ব্যবহার করে বলে নগর ও জেলা পুলিশের কাছে তথ্য আছে।

যে প্রক্রিয়ায় মানব পাচার
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মানব পাচারকারীরা নভেম্বর থেকে মার্চ মাসকে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া পাচারের সময় হিসেবে বেছে নেয়। কারণ এসময় নদী ও সাগর শান্ত থাকে।

সাধারণত গভীর সমুদ্রের এন্ট্রি পয়েন্টে বাংলাদেশের জলসীমার মধ্যে পণ্যবাহী বা মাছ ধরার ট্রলারে করে ছোট ছোট দলে ভাগ করে পাচারের উদ্দেশ্যে লোকজনকে নিয়ে যাওয়া হয় আরও গভীর সমুদ্রে অপেক্ষমাণ জাহাজের কাছে। ট্রলারে তুলে দেন দালালরা। ট্রলার থেকে জাহাজে নেয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে মাঝিরা। ট্রলারে তোলার পর দেশি-বিদেশি মানব পাচার নেটওয়ার্কের মূল নিয়ন্ত্রকরা দায়িত্ব নেয়।

পুলিশের কাছে তথ্য আছে, বাংলাদেশ থেকে প্রথমে জাহাজ পৌঁছে থাইল্যান্ড সীমানায়। সেখান থেকে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করিয়ে সেখানে অপেক্ষমাণ আরেকটি পাচারকারী দলের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়। আবার থাইল্যান্ড সীমান্তে পৌঁছার পর বনিবনা না হলে সেদেশের সীমান্তরক্ষীর হাতে তুলে দেয়া হয়। থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার দালালরা মাথাপিছু মুক্তিপণ দিয়ে তাদের ছাড়িয়ে নেয়। অথবা দেশিয় দালালরা ভিকটিমের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে মুক্তিপণের টাকা আদায় করে। দালালরা যাদের মুক্তিপণের বিনিময়ে ছাড়িয়ে নেয় তাদের ভাগ্য নির্ধারিত হয় সেই দালালের মর্জির উপর।  

পাচারকারীদের টার্গেট রোহিঙ্গা
মানব পাচারকারী দালালদের মূল টার্গেট থাকে মায়ানমারের রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের লোকজন। তাদের স্বল্প ব্যয়ে মালয়েশিয়া যাবার লোভ দেখিয়ে বাংলাদেশে এনে কক্সবাজার ও টেকনাফের বিভিন্ন রুট থেকে নৌকায় তুলে দেয় দালাল কিংবা মাঝিরা। এদের মধ্যে আবার অনেক রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মানুষ বাংলাদেশি নাগরিক সেজে পাসপোর্ট বানান অথবা বানানোর চেষ্টা করেন।

কক্সবাজার জেলা পুলিশের সূত্রমতে, জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা ২০১৩ সালে ১০৮৮ জন, ২০১৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ১২৭১ জনকে মায়ানমারের নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের পাসপোর্ট প্রাপ্তি প্রতিরোধ করে।

এছাড়া কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও ১৭ ব্যাটেলিয়ন বিজিবি ২০১০ সালে ৪২১ জন, ২০১১ সালে ৫২ জন, ২০১২ সালে ২২৪০ জন, ২০১৩ সালে ৪১০৭ জন এবং ২০১৪ সালের জুলাই পর্যন্ত ১৪০০ জনসহ মোট ৮ হাজার ২২০ জন রোহিঙ্গা নাগরিক আটক করে মায়ানমারে পুশব্যাক করেছে। এদের অধিকাংশই বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ার জন্য এসেছিলেন বলে সূত্র জানিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৬৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।