ঢাকা, বুধবার, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ০৩ জুলাই ২০২৪, ২৫ জিলহজ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

গাংচিলের সঙ্গে মিতালি

সোহেল সরওয়ার, স্টাফ ফটো করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০১৪
গাংচিলের সঙ্গে মিতালি ছবি : সোহেল সরওয়ার/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: জীবনানন্দের কবিতায় অমর হয়ে থাকা ধানসিঁড়ি নয়, এটা নাফ নদী। কক্সবাজারের পূর্ব কোণ দিয়ে টেকনাফ হয়ে প্রবাহিত এই নাফ নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে দেখা দিলো জীবনানন্দের গাংচিল।



সি-ট্র্যাকে চড়ে তাই টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে মিতালি হলো তাদের সঙ্গে।

পর্যটকদের ছুড়ে দেওয়া চিপসের টুকরো জল থেকে ছোঁ মেরে ঠোঁটে যেমন নিলো, তেমনি ছোট ভাসমান মাছও ঠোঁটের ফাঁদে ধরলো গাংচিলের দল।


আর সেই সব দুর্লভ দৃশ্য ধরা পড়লো ক্যামেরার চোখে।  

গাংচিলের মাথা-বুক-পেট কালচে। শরীরে সাদা আর ছাই ছাই ছোপ। পিঠ ও লেজ সাদা। পা দুটি লাল। ঠোঁটের রং অনেকটাই পায়ের মতো, তবে হলদেটে ভাব আছে। লেজ ‍অনেকটা ফিঙে পাখির মতো বিভক্ত। ডানার লম্বা পালকগুলো কালচে ধূসর।
 
এরা বালুচরে দল বেঁধে ডিম পাড়ে। সবুজাভ ছাই ছাই বাদামি রঙের ডিমের ওপর দেখা যায় কালো-বাদামি ফোঁটা।

টেকনাফ থেকে নীলজলঘেরা নারিকেলবনের দ্বীপ সেন্টমার্টিনে যেতে সময় লাগে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা। পুরোটা সময় সঙ্গ দিয়ে মন ভুলিয়ে রাখবে এই গাংচিলেরা।

বাংলাদেশ সময়: ০৬৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।