ঢাকা, বুধবার, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ০৩ জুলাই ২০২৪, ২৫ জিলহজ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ফেসবুকে অনলাইন শপ খুলে ৩০ ছিনতাই

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০১৪
ফেসবুকে অনলাইন শপ খুলে ৩০ ছিনতাই

চট্টগ্রাম: ফেসবুকে অনলাইন শপ খুলে প্রতারণা এবং ছিনতাইয়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া যুবক রোকনুদ্দিন সোমবার আদালতের দায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। অনলাইন শপের মাধ্যমে প্রতারণা করে এ পর্যন্ত তারা ২০-৩০টি ছিনতাই করেছে বলেও জবানবন্দিতে জানিয়েছে।



মো.রোকনুদ্দিন (২২) ও মো.শুক্কুর (২২) নামে দুই যুবককে রোববার সকাল ১১টার দিকে গ্রেপ্তার করেছিল বাকলিয়া থানা পুলিশ।

ফেসবুকে মোবাইল বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়ে সরকারি হাজি মুহাম্মদ মহসিন কলেজের দুই শিক্ষার্থীর সঙ্গে প্রতারণা এবং ছিনতাইয়ের অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।


এরপর সোমবার বিকেলে রোকনুদ্দিনকে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম সৈয়দ মাশফিকুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে প্রায় আধাঘণ্টা ধরে জবানবন্দি দেন রোকনুদ্দিন।

বাকলিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বাংলানিউজকে বলেন, রোকনুদ্দিন আদালতে জবানবন্দি দিয়ে ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন। শুক্কুরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমাণ্ডে নেয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। আবেদনের শুনানি পরে হবে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, জবানবন্দিতে রোকনুদ্দিন জানিয়েছে, তারা দু’জন আগে বাকলিয়ার দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী আয়মন গ্রুপে ছিল। ছিনতাইয়ের টাকা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বে তারা বিভক্ত হয়ে যায়। এরপর রোকনুদ্দিন ও শুক্কুর মিলে আরেকটি ছিনতাইকারী গ্রুপ গড়ে ত‍ুলে।

এরপর রোকনুদ্দিন ও শুক্কুর মিলে ফেসবুকে ‘সিটিজি অনলাইন বেচাকেনা’ নামে একটি পেইজ খুলে। সেখানে একটি স্যামসাং গ্যলাক্সি মডেলের মোবাইল সেট বিক্রির বিজ্ঞাপন দেয় তারা।

সরকারি মহসিন কলেজের শিক্ষার্থী আনিসুল ইসলাম ও আরমান হোসেন মোবাইলটি কেনার জন্য মোবাইলে রোকনুদ্দিন ও শুক্কুরের সঙ্গে কথা বলে। মোবাইলটি নেয়ার জন্য তাদের নগরীর দেওয়ানবাজার দিদার মার্কেট এলাকায় যেতে বলা হয়।

শনিবার রাত ৮টার দিকে আনিসুল ও আরমান দিদার মার্কেট এলাকায় গেলে তাদের বাকলিয়া থানার নীলমহল বালুর মাঠ এলাকায় যেতে বলা হয়। দু’জন সেখানে গেলে রোকনুদ্দিন ও শুক্কুর মিলে তাদের ছোরার ভয় দেখিয়ে টাকাপয়সা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়।

রোববার সকাল ১১টার দিকে আনিসুল ও আরমান আবারও বালুর মাঠ এলাকায় যায়। সেখানে গিয়ে তারা রোকনুদ্দিন ও শুক্কুরকে দেখতে পায়। তখন তারা বাকলিয়া থানায় খবর দেয়। এরপর পুলিশ গিয়ে দু’জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

আয়মন গ্রুপ থেকে ভাগ হবার পর তারা ফেসবুকে অনলাইন শপ খুলে এ পর্যন্ত ২০-৩০টি ছিনতাই করেছে বলে জবানবন্দিতে জানিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮,২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।