ঢাকা, সোমবার, ১৬ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ জুলাই ২০২৪, ২৩ জিলহজ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

হোটেল বন্ধের জেরে সংসদ সদস্যের বাড়ি ঘেরাওয়ের চেষ্টা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৪
হোটেল বন্ধের জেরে সংসদ সদস্যের বাড়ি ঘেরাওয়ের চেষ্টা

চট্টগ্রাম: অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার দায়ে ৭১জনকে দণ্ড ও একটি আবাসিক হোটেল সিলগালা করার প্রতিবাদে স্থানীয় সংসদ সদস্যের বাড়ি ঘেরাওয়ের চেষ্টা করেছে হোটেল ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা।  

নগরীর কর্ণেলহাট এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতভর অভিযান চালিয়ে হোটেল ডায়মন্ড থেকে ৭১জনকে আটক করা হয়।

পরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে প্রত্যেককে একমাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অভিযান পরিচালনার সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য দিদারুল আলম উপস্থিত ছিলেন।


এ ঘটনার জের ধরে শুক্রবার সন্ধ্যায় হোটেল ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা  অর্ধশতাধিক লোকজন নিয়ে দিদারুল আলমের বাড়ি ঘেরাও করার চেষ্টা করেন বলে স্থানীয় সূ্ত্রে জানা গেছে।

তবে সংসদ সদস্যের সঙ্গে সরকার দলীয় সংগঠনের কয়েকজন নেতা-কর্মী সাক্ষাত করেছে বলে স্বীকার করলেও বাড়ি ঘেরাওয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেছে পুলিশ।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (পশ্চিম) তানবীর আরাফাত বাংলানিউজকে বলেন, হোটেলে অভিযান পরিচালনার ঘটনায় কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি ছিল। তাই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত কয়েকজন এমপি সাহেবের সঙ্গে দেখা করতে গেছেন।

তারা বিষয়টি নিয়ে এমপি সাহেবের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ আলাপ করেছেন। বৈঠকে ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানান তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে নগরীর কাট্টলী এলাকায় মিছিল নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের বাড়ি ঘেরাও করতে যান অর্ধ শতাধিক লোক। বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়ে হৈ চৈ শুরু করলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

খবর পেয়ে দুই প্লাটুন পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাড়িতে প্রবেশে বাধা দেয়। পরে সাত জনের একটি প্রতিনিধি দল গিয়ে সংসদ সদস্যের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। ওই বৈঠকে আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে। তবে বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেছেন।

বাড়ি ঘেরাওয়ের বিষয়ে ওসি বলেন, এ ধরণের কিছু হয়নি। কয়েকজন দলীয় কর্মী এমপি সাহেবের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করতে গেছেন।

অসামাজিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগ একমাস আগে নগরীর ডায়মন্ড আবাসিক হোটেল সিলগারা করা হয়। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট আসিফ ইমতিয়াজ অভিযান চালিয়ে হোটেলটি সিলগালা করেন। কিন্তু হোটেলের পেছনে দরজা কেটে সেখানে ফের অসামাজিক কার্যকলাপ শুরু করেন হোটেল মালিক।

এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার এলাকার লোকজন নিয়ে হোটেলটি ঘেরাও করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য। পরে সেখানে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান চালিয়ে ৭১জনকে আটক করে প্রত্যেককে একমাস করে কারাদণ্ড দেন।

বাংলাদেশ সময়:২২২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।