ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৫ জুন ২০২৪, ১৭ জিলহজ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পাল্টে যাচ্ছে শিল্পকলা একাডেমি

এস.বি.টুপসি, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৪
পাল্টে যাচ্ছে শিল্পকলা একাডেমি ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি আধুনিকায়নের উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন।   শিগগিরই একাডেমির মূল মিলনায়তন শীততাপ নিয়ন্ত্রিত করার পাশাপাশি শুরু হচ্ছে আলোকসজ্জ‍া বৃদ্ধি, জেনারেটর সিস্টেম এবং মঞ্চের ফ্লোর উন্নয়নের কাজ।



জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, চট্টগ্রামে শিল্পকলা একাডেমি আছে ঠিক, কিন্তু অবকাঠামোগত ত্রুটির কারণে অনুষ্ঠান করার পরিবেশ এখন অনেকটা নেই বললেই চলে। আমরা শিল্পকলাকে একাডেমিকে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত করাসহ কিছু অবকাঠামোগত উন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়েছি।


তিনি বলেন, প্রবাসী এক বাংলাদেশী শিল্পকলা একাডেমিকে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত করতে ২৮ লাখ টাকা অনুদান দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।   এর পাশাপাশি অন্য কাজের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে বরাদ্দ দেওয়া হবে।

শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার মোসলেম উদ্দিন সিকদার বাংলানিউজকে জানান, জেলা প্রশাসকের  উদ্যোগে একাডেমি মিলনায়তন আধুনিকীকরণের কাজ শুরু হচ্ছে।

উন্নয়ন কাজ চলাকালীন হল বন্ধ রেখে বিকল্পভাবে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে বলে জানান তিনি।

১৯৭৩ সালে ‘চট্টগ্রাম কলাভবন’ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন চিত্রশিল্পী রশিদ চৌধুরী।   ওই বছর ২৩ এপ্রিল ফরাসি মনীষী মসিয় অঁদ্রে মালরো বর্তমান শিল্পকলা একাডেমী চত্ত্বর উদ্বোধন করেন।

১৯৭৭ সালে চট্টগ্রাম বিভিন্ন উৎসব উদযাপনের উদ্দেশ্যে তৎকালীন জেলা প্রশাসক হাসনাত আবদুল হাইয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ‘চট্টগ্রাম কলাভবন’ নামে একটি অস্থায়ী মঞ্চ নির্মাণ করা হয়।

এ কলা ভবনই এখন শিল্পকলা একাডেমিতে পরিণত হয়েছে।

বর্তমানে শিল্পকলা একাডেমিতে রয়েছে একটি কার্যালয় ও প্রশিক্ষণ ভবন, একটি মহড়া ভবন এবং একটি আর্ট গ্যালারী ভবন ও একটি মিলনায়তন।

২০০৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর একাডেমির মূল ফটকের পাশে অনিরুদ্ধ মুক্ত মঞ্চ স্থাপন করা হয়।   ২০১৩ সালে  একটি পুননির্মাণের উদ্যোগ নেয় তৎকালীন জেলা প্রশাসক।

বাংলাদেশ সময়: ১১১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।