ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বন্যা ও জলাবদ্ধতা মোকাবেলায় শতবর্ষী মাস্টারপ্ল্যান করবে চসিক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৬
বন্যা ও জলাবদ্ধতা মোকাবেলায় শতবর্ষী মাস্টারপ্ল্যান করবে চসিক চায়না ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপ লিমিটেডের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মেয়র নাছিরের বৈঠক

নগরীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও জলাবদ্ধতা নিরসনে একশত বছর মেয়াদি মাস্টারপ্ল্যান করবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। যাতে থাকবে খাল প্রশস্থ করা, খনন, খালের পাড়ে রাস্তা নির্মাণ, স্লুইচগেট, পাম্প হাউস নির্মাণ, নতুন নতুন খাল খননসহ নানামুখী পরিকল্পনা।  

চট্টগ্রাম: নগরীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও জলাবদ্ধতা নিরসনে একশত বছর মেয়াদি মাস্টারপ্ল্যান করবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। যাতে থাকবে খাল প্রশস্থ করা, খনন, খালের পাড়ে রাস্তা নির্মাণ, স্লুইচগেট, পাম্প হাউস নির্মাণ, নতুন নতুন খাল খননসহ নানামুখী পরিকল্পনা।

 

বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) পাওয়ার চায়না ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিনিধিদল চসিকের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনকে মাস্টারপ্ল্যানের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে অবহিত করেন। চীন কারিগরি ও আর্থিক সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছে বলেও মেয়রকে জানানো হয়।

প্রতিনিধিদলটি জানায়, ২০১৭ সালের মার্চে এ ব্যাপারে সম্ভাব্যতা যাচাই কার্যক্রম শেষ হবে।  

মেয়র চীনা প্রস্তাবনা ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট করে পূর্ণাঙ্গভাবে উপস্থাপনের পরামর্শ দিয়ে বলেন, এক কোটি মানুষের বসবাসযোগ্য মেগাসিটির আদলে নগরী গড়ার প্রত্যয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ এবং জলাবদ্ধতা থেকে নগরীকে মুক্ত রাখতে হবে।

এ লক্ষ্যে মাস্টার ড্রেনেজ প্ল্যান, মাস্টার স্যুয়ারেজ প্ল্যান, ডিটেইলস এরিয়া প্ল্যান অনুসরণে চিটাগং ফ্লাড কন্ট্রোল অ্যান্ড ওয়াটার লগিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রজেক্টের ডিজাইন স্কিম প্রণয়নে দায়িত্ব পাওয়া বিফাং ইনভেস্টিগেশন ডিজাইন অ্যান্ড রিসোর্চ কোম্পানি লিমিটেডকে অনুরোধ জানান।

এ সময় চীনা কোম্পানির ভাইস প্রেসিডেন্ট, কমার্শিয়াল ম্যানেজার, পাওয়ার চায়নার লোকাল পার্টনার গ্রিন ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রানা খানসহ চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম ও নির্বাহী প্রকৌশলী সামসুল হুদা সিদ্দিকী, সুদীপ বসাক, সহকারী প্রকৌশলী মো. মঞ্জুরুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, নগরীকে শতভাগ আলোকিত করার লক্ষ্যে ৪১ কিলোমিটারজুড়ে প্রায় ৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর এলইডি বাতি স্থাপন কর্মসূচিতে সহযোগিতা দিতে এগিয়ে এসেছে বিএমটিএফ ও জুমটেবল গ্রুপ।

বুধবার বিকেলে নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সাথে বিএমটিএফ ও জুমটেবল গ্রুপের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে এলইডি বাতি স্থাপন বিষয়ে একটি কর্মপরিকল্পনা ও প্রস্তাবনা মেয়রের নিকট উপস্থাপন করা হয়। এসময় বিএমটিএফের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাফিজ, লে. কর্নেল আসাদ, প্রকৌশলী মাহবুব ও জাহিদ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৬

এআর/টিসি                                

                                                                   

                                                                  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।