ঢাকা, বুধবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ মে ২০২৪, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

গণপরিবহনে নৈরাজ্য বন্ধে মেয়রকে স্মারকলিপি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০১৭
গণপরিবহনে নৈরাজ্য বন্ধে মেয়রকে স্মারকলিপি গণপরিবহনে নৈরাজ্য বন্ধে মেয়রকে স্মারকলিপি দিচ্ছেন ক্যাব নেতারা

চট্টগ্রাম: নগরীতে গণপরিবহন বিশেষ করে ইজিবাইক, টমটম, হিউম্যান হলার, সিএনজি অটোরিকশা এবং বাস সার্ভিসের জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ও আইন প্রয়োগে ট্রাফিক বিভাগের নজরদারি না থাকায় যাত্রীরা প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হওয়ায় উদ্বেগ জানিয়েছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।

সোমবার (২ জানুয়ারি) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন ক্যাব নেতৃবৃন্দ।

ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, নগর কমিটির সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর আবিদা আজাদ, বিভাগীয় সহ-সভাপতি আবদুল মান্নান, নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ম সম্পাদক এএম তৌহিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পদক জন্নাতুল ফেরদৌস এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

একই স্মারকলিপি নগর পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহারকেও দেওয়া হয়।

নগরীতে চলাচলকারী ইজিবাইক, টমটম, হিউম্যান হলার, সিএনজি এবং বাস সার্ভিসের জন্য অনতিবিলম্বে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা, নগরীতে চলাচলকারী গাড়ি, চালক ও হেলপারে ডাটাবেস তৈরি, চালক ও হেলপারদের জন্য নিরাপদ সড়ক বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, বিশেষ করে জেন্ডার সংবেদনশীল প্রশিক্ষণ প্রদান, তাদের সাথে নিয়মিত সভার আয়োজন, যাত্রীদের বিড়ম্বনা রোধে সিএমপি ও থানা পর্যায় হেলপলাইন চালু, প্রধান প্রধান স্টেশনগুলোতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ওয়ার্ড কাউন্সিলর, সাংবাদিক, ক্যাব, শ্রমিক ও যাত্রী প্রতিনিধি নিয়ে যাত্রী হয়রানি তদারকি কমিটি গঠনের মাধ্যমে নগরীর গণপরিবহনের বেহাল দশা রোধে জরুরি উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানায় ক্যাব।

স্মারকলিপিতে গণপরিবহনে নির্ধারিত ভাড়ার চার্ট ঝোলানো, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে তার প্রতিকারে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ, সিএনজি অটোরিকশা মিটারে চালানো ও যাত্রীর ইচ্ছায় গন্তব্যে যাওয়া নিশ্চিত করা, মিটারে সিএনজি না চালানো বন্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা, নগরীর প্রধান সড়কগুলোতে যত্রতত্র দাড়িয়ে যাত্রী ওঠা-নামা এবং রাস্তায় বেশি সময় ধরে গাড়িপার্কিং বন্ধ রাখা, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রীর আহ্বানে চট্টগ্রামে লক্করঝক্কর বাসগুলো অপসারণ করে নতুন বাস নামানো, নগরীতে চলমান বাসের পরিসংখ্যান হালনাগাদ করা, রেজিস্ট্রেশনবিহীন ইজিবাইক, হিউম্যান হলারগুলোতে চাঁদাবাজি ও টোকেন বাণিজ্য বন্ধ করা, নগরীতে চলাচলের জন্য অনুমতি আছে এমন বাসগুলোর তালিকা হালনাগাদ করে অফিস ও কলকারখানামুখি যাত্রী ভোগান্তি কমাতে সকাল-বিকাল রাস্তায় উপস্থিতি নিশ্চিত করা, হঠাৎ করে বিকল্প কিছু না করে কোনো যানবাহন বন্ধ না করা, গণপরিবহনের সমস্যা সমাধান ও এ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানানো হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৭

এআর/আইএসএ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।