ঢাকা, শনিবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ মে ২০২৪, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বান্দরবান থেকে বিতাড়িত রেল শ্রমিকদের স্টেশন ভাঙচুর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০১৭
বান্দরবান থেকে বিতাড়িত রেল শ্রমিকদের স্টেশন ভাঙচুর রেল শ্রমিকদের বিক্ষোভ ও স্টেশন ভাঙচুর

চট্টগ্রাম: বান্দরবানের মেঘলায় পিকনিকে গিয়ে মাতলামি, পর্যটকদের সঙ্গে অশোভন আচরণ এবং জেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তার ওপর হামলা করেছে রেলওয়ে শ্রমিক লীগের নেতা-কর্মীরা। পরে তাদের বের করে গাড়িতে তুলে দেয় পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

চট্টগ্রাম পৌঁছে এ ঘটনার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে হামলা চালিয়ে স্টেশনে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে শ্রমিক লীগ নেতাকর্মীরা। এসময় তারা রেল স্টেশনের টিকেট কাউন্টার এবং স্টেশনে প্রবেশ পথের কাঁচ ভাঙচুর করে বিক্ষোভ মিছিলও করে।

টিকেট নিতে আসা যাত্রীদের ধাওয়া দিয়ে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ট্রেন অবরোধ করে রাখে।

শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) রাত ৯টায় শ্রমিক লীগ নেতা সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা এ হামলা চালায়।

এসময় স্টেশন জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রেল শ্রমিকদের বিক্ষোভ ও স্টেশন ভাঙচুর

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, কয়েকশ’ লোকজন দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করে স্টেশন ম্যানেজার, স্টেশন মাস্টার, বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার, পরিবহন কর্মকর্তাসহ রেলওয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অফিসে গিয়ে বান্দরবানে পিকনিকে রেল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হামলার বিচার দাবি করেন। অন্যথায় চট্টগ্রাম থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধের হুমকি দেন।

জানা গেছে, রেলওয়ে শ্রমিক লীগ নেতা মো. সিরাজুল ইসলাম ও তার পক্ষের নেতাকর্মীরা শুক্রবার বান্দরবান মেঘলায় পিকনিকে যান। সেখানে শ্রমিক লীগের কয়েকজন মদ খেয়ে মাতলামি করার কারণে জেলা প্রশাসনের লোকজন ও পুলিশের সঙ্গে তাদের তর্কাতর্কি হয়। পরে জেলা প্রশাসক রেলওয়ে শ্রমিকলীগ নেতা-কর্মীদের বের করে গাড়িতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন। রেল শ্রমিকদের বিক্ষোভ ও স্টেশন ভাঙচুর

এদিকে বান্দরবান জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বান্দরবানের মেঘলায় পিকনিকে গিয়ে শ্রমিক লীগের কয়েকজন নেতাকর্মী মদ খেয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল। তাই পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে শ্রমিক লীগ নেতাকর্মীদের বের করে গাড়িতে তুলে দেওয়া হয়।

জানতে চাইলে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বাংলানিউজকে বলেন, মদ খেয়ে ভয়ানক মাতলামি করছিল। মেয়েদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেছে। পুলিশকে এবং একজন ম্যাজিস্ট্রেটের গায়ে হাত তোলে তারা। রেল শ্রমিকদের বিক্ষোভ ও স্টেশন ভাঙচুর

তিনি আরো বলেন, চাইলে তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত দিয়ে সাজা দিতে পারতাম। কিন্তু তা করিনি। মান-সম্মানের সঙ্গে তাদের গাড়িতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাদের কর্মকাণ্ড সবাই দেখেছে। তারা নিজেরা দোষ করে এখন রেল অবরোধ করলে হবে ?

এদিকে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. আব্দুল হাই বাংলানিউজকে জানান, শ্রমিক লীগের সিরাজুল ইসলাম গ্রুপের লোকজন বান্দরবান পিকনিকে গিয়েছিল। সেখানে থেকে এসে স্টেশনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। রেল আটকে রেখেছিল। এরপরও কিন্তু রাতের দু’টো ট্রেনই যথাসময়ে স্টেশন ছেড়ে গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ০০৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০১৭
এমইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।