সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে আসকার দীঘির পাড়ে রীমা কমিউনিটি সেন্টারে এ দুর্ঘটনা ঘটে। কুলখানি উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য সেখানে এ মেজবানের আয়োজন করা হয়।
নিহতরা হলেন- কৃষ্ণপদ দাশ (৪০), সুবীর দাশ (৫০), ঝণ্টু দাশ (৪৫), প্রদীপ তালুকদার (৪৫), লিটন দেব (৫৩), ঘনা শীল (৬০), দীপংকর রাহুল দাস (২০) আশিস বড়ুয়া, রীবন দাস ও উজ্জ্বল চৌধুরী।
ঘটনার পরই রীমা কমিউনিটি সেন্টার ও চমেক হাসপাতালে ছুটে যান চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার ইকবাল বাহার।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, অতিরিক্ত মানুষের চাপে এ দুর্ঘটনা ঘটে। গেটটি ছোট হওয়ায় হুড়োহুড়ি করে অনেকেই এক সঙ্গে ভেতরে ঢুকছিলেন। গেটটি ঢালু হওয়ায় ওই সময় পেছন থেকে ধাক্কায় অনেকেই নিচে পড়ে যান। সে সময় পদদলিত হয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়।
তবে নিরাপত্তার কোনো কমতি ছিল না বলে জানান সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার।
তিনি বলেন, নগরীর অন্যান্য জায়গায় আয়োজিত ভেন্যুতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
চিকিৎসকরা জানান, হাসপাতালে আহত ১১ জন ভর্তি রয়েছেন। এরমধ্যে তিনজনকে আইসিইউতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের একজন অর্পন বিশ্বাস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, নিহতের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
এদিকে ঘটনার পরপরই হাসপাতালে ছুটে যান মহিউদ্দিনপুত্র মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এ সময় তার সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতারাও ছিলেন।
এ সময় হতাহতদের স্বজনদের সান্ত্বনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন পিতৃশোকে কাতর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
রীমা কমিউনিটি সেন্টারের দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন আন্দরকিল্লার ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও নগর আওয়ামী লীগের উপ দফতর সম্পাদক জহরলাল হাজারী।
তিনি জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে এক লাখ টাকা ও সৎকারের জন্য পাঁচ হাজার টাকা দেওয়া হবে। এছাড়া আহতদের চিকিৎসা ব্যয়ও পরিবারের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে।
গত ১৪ ডিসেম্বর দিনগত রাত ৩টার দিকে বন্দরনগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন চট্টল বীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী।
পরিবারের পক্ষ থেকে সোমবার কুলখানি ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে ষোলশহরের চশমা হিলে সাবেক মেয়রের বাসভবন ছাড়াও মেজবানের আয়োজন ছিল নগরীর ১৪টি কমিউনিটি সেন্টারে।
১৯৯৪ সাল থেকে টানা তিনবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। আমৃত্য চট্টগ্রামের গণমানুষের এই নেতা নগর আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৭/আপডেট: ২০৫৪ ঘণ্টা
এমএ/