ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করছে বাচিক শিল্পীরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৭
বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করছে বাচিক শিল্পীরা বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করছে বাচিক শিল্পীরা

চট্টগ্রাম: বাচিক শিল্পীরা বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রামের ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার অনিন্দ ব্যানার্জী। ‘চট্টগ্রাম: কবিতার শহর’ শিরোনামে বাচিক শিল্পচর্চা কেন্দ্র তারুণ্যের উচ্ছ্বাস’র আয়োজনে চার দিনব্যাপী কবিতা উৎসবের সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরীর জেলা শিল্পকলা একাডেমির মুক্তমঞ্চে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অনিন্দ ব্যানার্জী বলেন, ‘শিল্পীদের মাধ্যমে একটি ছবি তৈরি হয়। যা শুধুমাত্র বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করে তা নয়, ভাষার প্রতি আকর্ষণও বাড়ায়।

আবৃত্তিচর্চার মাধ্যমে বাচিক শিল্পীরা বাংলা ভাষাকে আরও বেশি সমৃদ্ধ করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ’

আবৃত্তিশিল্পীদের নিয়ে কবিতা উৎসব আয়োজনের জন্য তারুণ্যের উচ্ছ্বাস সংগঠনের কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার।

তারুণ্যের উচ্ছ্বাস’র সভাপতি ডা. ভাগ্যধন বড়ুয়ার সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সরকারি চারুকলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক রীতা দত্ত, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) যুগ্ম মহাসচিব তপন চক্রবর্তী ও বারভিডার যুগ্ম মহাসচিব হেলাল মোহাম্মদ জোনায়েদ।

সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে দেশ অনেক এগিয়েছে জানিয়ে অধ্যাপক রীতা দত্ত বলেন, যারা সাহিত্যচর্চা করেন তারা দূরের সাথে কাছে, কাছের সাথে দূরের এবং দূরের সাথে কাছের সম্পর্ককে পরিচয় করিয়ে দেয়। সংস্কৃতিকর্মীরা কখনো খারাপ কাজের সাথে জড়িত হয় না। মূল্যবোধকে কাজে লাগিয়ে তারা সৃষ্টিশীল কাজে জড়িত হয়। শিল্প ও সংস্কৃতিতে চট্টগ্রাম অনেক আলোকিত। এ শহরে কবি, শিল্পী, সাহিত্যিকদের মেলবন্ধন অনেক দৃঢ়। তরুণদের চেতনার জগতকে আলোর বিস্ফোরণ ঘটাতে সংস্কৃতিচর্চা করতে হবে।

তপন চক্রবর্তী বলেন, সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে কবিতা শিল্প। সংস্কৃতিচর্চার মাধ্যমে দেশকে আরও এগিয়ে নিতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যারা কবিতা শোনে না, তারা সুস্থ মানুষ নয়। ভবিষ্যত প্রজন্মকে কবিতা পাঠের মাধ্যমে উজ্জ্বীবিত এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

তারুণ্যের উচ্ছ্বাস’র অনুষ্ঠান সম্পাদক সেজুঁতি দে’র সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. মুজাহিদুল ইসলাম। সভাশেষে কবিতা উৎসব উপলক্ষে উৎসবে অংশগ্রহণকারী কবিদের অপ্রকাশিত কবিতা নিয়ে প্রকাশিত ভাগ্যধন বড়ুয়া সম্পাদিত কবিতাগ্রন্থ ‘মুক্তডানা’র মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিবৃন্দ।

এরপর শুরু হয় আবৃত্তি পরিবেশনা।  আবৃত্তি পরিবেশন করেন দেশবরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী সৈয়দ হাসান ইমাম, ওপার বাংলার সৌমিত্র ঘোষ, আয়েশা হক শিমু, আরমান হাফিজ, কঙ্কা দাশ, তৌফিক হোসাইন, প্রণব চৌধুরী, ফারুক তাহের, ফাহিম উদ্দীন, মিলি চৌধুরী, মুবিদুর রহমান সুজাত, মৌ দত্ত, রণজিৎ রক্ষিত, রেখা নাজনীন,রিয়াজুল কবির, রবি ভৌমিক হিরন্ময় বড়ুয়া, সঞ্জয় সুন্দর, সাবের শাহ, শ্রাবণী দাশগুপ্তা, শাহরীয়ার তানজিম।

কবিতাপাঠ করেন অভিক ওসমান, আলী প্রয়াস, ইউসুফ মুহাম্মদ, এজাজ ইউসূফী, কামরুল হাসান বাদল, নাজিমুদ্দীন শ্যামল, বিশ্বজিৎ চৌধুরী, মনিরুর মনির,মানজুর মুহাম্মদ, মোজাম্মেল মাহমুদ, মোহাম্মদ জোবায়ের, শাহীদ হাসান, সাথী দাশ।

ছড়াপাঠ করেন আবু তসলিম, বিপুল বড়ুয়া, মো. নাসির উদ্দীন, লিটন কুমার চৌধুরী। তারুণ্যের উচ্ছ্বাসের শিল্পীদের পরিবেশনায় বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশিত হয়।

এর আগে জাতীয় পতাকা, রঙিন ফেস্টুন ও কবিতার নানা প্লেকার্ড হাতে ‘কবিতার মিছিল’ শিরোনামে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। এছাড়া কবিতা উৎসবের সমাপনী দিনে কবি, ছড়াকার, আবৃত্তিশিল্পীদের সম্মিলনে প্রাণবন্ত ছিল জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণ।

চার দিনব্যাপী কবিতা উৎসবে মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল দেশের শীর্ষ স্থানীয় নিউজপোর্টাল বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম ও দৈনিক আজাদী।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৭

এসবি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।