ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল

৫ কোটি টাকার বিল জালিয়াতির অভিযোগ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৯ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২২
৫ কোটি টাকার বিল জালিয়াতির অভিযোগ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ...

চট্টগ্রাম: ভুয়া স্মারক নম্বর বসিয়ে ৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকার একটি বিল ছাড়াতে জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরির করার কথা থাকলেও এখনও নেওয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা।

 

জানা গেছে, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের জন্য ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৫ কোটি ৩৭ লাখ ২৫ হাজার টাকায় আটটি আইসিইউ বেড ও অন্যান্য সামগ্রী কেনায় অনিয়ম হয়। এ ঘটনায় দুদকের দায়ের করা একটি মামলা শুনানি পর্যায়ে রয়েছে।

ফলে মালামাল সরবরাহকারী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিলও আটকে যায়।  

মঙ্গলবার (২৯ জুন) ভুয়া স্মারক নম্বর তৈরি করে জালিয়াতির মাধ্যমে সবার অগোচরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রক কার্যালয় থেকে ওই বিল ছাড়ানোর চেষ্টা করেন জেনারেল হাসপাতালের হিসাবরক্ষক মো. ফোরকান। তবে শেষ পর্যন্ত জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে।  এর আগে চলতি বছরের ১৭ মে স্বাস্থ্য অধিদফতরের গঠিত তদন্ত কমিটিও চট্টগ্রামে আসে বিষয়টি তদন্তের জন্য। কিন্তু তারপরও সেই বিল ছাড়াতে তৎপর ঠিকাদারসহ অভিযুক্ত ফোরকানের চক্র।  

সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের একটি বিলের স্মারক নম্বর জেনারেল হাসপাতালের নামে আরেকটি বিলের কাগজে বসিয়ে জাল কাগজ তৈরি করে ফোরকান। সে কাগজে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক থেকে স্বাক্ষর করিয়ে দুপুরেই নিয়ে যান বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রক অফিসে। সেখানে সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তার বিষয়টি সন্দেহ হলে পরবর্তীতে অফিস প্রধানকে অবহিত করা হয়। পরে তারা (বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রক  কর্তৃপক্ষ) স্বাস্থ্য অধিদফতরের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেন। স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে নির্দেশনা পাওয়ার পর ফোরকানকে আটকে রাখা হয় হিসাব নিয়ন্ত্রক অফিসে। পরে তাকে পাঁচলাইশ থানায় সোপর্দ করা হয়। পরে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ফোরকানকে নিজ জিম্মায় ছাড়িয়ে আনেন।  

বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রক এস এম মনজুর আহমেদ এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনে কথা বলতে রাজি হননি।  

তবে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বিল জালিয়াতির কথা স্বীকার করলেও হাসপাতালের হিসাবরক্ষক ফোরকানের জড়িত থাকার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, জুনের সমাপনী হিসাব নিয়ে কাজ করছিলাম। হাসপাতালের আইসিইউ স্থাপন সংক্রান্ত ২০১৩-১৪ সালের একটি বকেয়া বিল ছিল। যার পরিমাণ প্রায় ৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। বিলের গরমিল নিয়ে সমস্যা হয়। এ নিয়ে কোতোয়ালী থানায় সাধারণ ডায়েরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
 
জেনারেল হাসপাতালের পক্ষ থেকে কোনো সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে কি-না জানতে চাইলে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল কবির বাংলানিউজকে বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল মঙ্গলবার রাতে। বুধবার (২৯ জুন) সকালে আসার কথা থাকলেও কেউ আসেননি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২২
এমআর/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।