ঢাকা, বুধবার, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ০৩ জুলাই ২০২৪, ২৫ জিলহজ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

গ্রামীণ অর্থনীতি সচল রাখার তাগিদ জেলা প্রশাসকের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০২২
গ্রামীণ অর্থনীতি সচল রাখার তাগিদ জেলা প্রশাসকের

চট্টগ্রাম: জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ মুমিনুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশর অধিকাংশ লোক গ্রামেই বসবাস করেন। সুতরাং গ্রামীণ অর্থনীতির গুরুত্বটাই বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি।

মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত লোকাল গভর্ন্যাস সাপোর্ট প্রজেক্ট-৩ (এলজিএসপি-৩) অগ্রগতি ও অর্জন অবহিতকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (স্থানীয় সরকার) উপ-পরিচালক বদিউল আলমের সভাপতিত্বে  কর্মশালায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় নাগরিক সমাজ, উন্নয়নকর্মী, নারী প্রতিনিধি ও সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন।

জেলা প্রশাসক মুমিনুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ স্বল্প উন্নত দেশের কাতার থেকে বেরিয়ে এখন একটি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। আমরা সবাই মিলে কাজ করছি, এই উন্নয়নশীল বাংলাদেশ যাতে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত হয়। একসময় বাংলাদেশ মাথাপিছু আয় পাশ্ববর্তী দেশগুলো থেকে অনেক অনেক কম ছিল। এক সময় এও বলা হতো আমাদের দেশের লোকজন কাজের জন্য ভারতে চলে যায়।  

তিনি বলেন, সকল উন্নয়ন সূচকে আমরা যাদের কাছ থেকে স্বাধীনতা পেয়েছিলাম সেই পাকিস্তান থেকেও আজকে অনেক অনেক বেশি উন্নত সমৃদ্ধশালী সভ্য। নারীর ক্ষমতায়, জন্ম, মাতৃমৃত্যু ও সকল সামাজিক সূচকে আমরা পাকিস্তান থেকে অনেক এগিয়ে। এমন কি আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারত থেকেও অধিকাংশ উন্নয়নসূচকে আমরা অনেক গুণ এগিয়ে রয়েছি। এই উন্নয়নের পেছনে মূল ভূমিকা পালন করছে দেশের স্থানীয় তৃণমূল পর্যায়ে যে জনশক্তি রয়েছে তারা। দেশে হোক আর বিদেশ তাদের ভাল একটি অবদান রয়েছে। এ কারণে দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে।

স্থানীয় প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক বলেন, স্থানীয় সরকার তথা ইউনিয়ন পরিষদে যারা চেয়ারম্যান ও সচিব রয়েছেন, তাদের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা সচল ছিল বলে গত পৌনে দুইবছর কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেও আমাদের অর্থনীতি ভালো ছিল। সরকার গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী করতে লোকাল  গভর্ন্যাস সাপোর্ট  প্রজেক্ট (এলজিএসপি-৩) চালু করে হয়। যা আগামী ডিসেম্বরে বন্ধ হবে। কিন্তু পরবর্তীতে এ প্রজেক্ট সরাসরি জিওবির টাকায় বাস্তবায়ন হবে। তাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সচিবদের প্রতি অনুরোধ  টাকা যাই হোক না কেন। মনে রাখতে হবে এটি আমার দেশের জনগণের উন্নয়নের জন্য ব্যয় করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০২২
বিই/টিসি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।