চট্টগ্রাম: বিজ্ঞান নিয়ে নতুন নতুন সব আইডিয়া, ভবিষ্যতের স্বপ্ন এবং বিভিন্ন প্রজেক্ট প্রদর্শনের মাধ্যমে আট শতাধিক শিক্ষার্থীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘জুনিয়র সায়েন্স কার্নিভাল ২০২২’।
হোয়াইট বোর্ড সায়েন্স ক্লাব, চট্টগ্রামের আয়োজনে এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর, ডিজিজ বায়োলজি অ্যান্ড মলিকুলার অ্যাপিডেমিওলজি রিসার্চ গ্রুপ, চট্টগ্রাম (ডিবিএমই) এর সহযোগিতায় দিনব্যাপি এই সায়েন্স কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হয় গত ২৬ আগস্ট, চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে।
এই আয়োজনের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মিজানুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শহীদ উল্লাহ।
পরে অনুষ্ঠিত হয় জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াড, ফিজিক্স-ম্যাথ অলিম্পিয়াড। এছাড়া ৫০টিরও অধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয় তাদের উদ্ভাবিত নতুন নতুন প্রজেক্ট ডিসপ্লেতে। যাতে ছিল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, কৃষি বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞানের নানা আইডিয়া। পাশাপাশি বিজ্ঞানের জনপ্রিয় সব বিষয় নিয়ে পপুলার সায়েন্স টক উপস্থাপন করেন বাছাইকৃত সেরা ৬ জন বক্তা। ছিল কিউবিং কন্টেস্ট, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি রোবোটিকস ক্লাব কতৃক প্রদর্শিত হয় রোবো সকার এবং রোবোটিকস কর্মশালা। পরবর্তীতে উন্মুক্ত আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর পর্বে ছিলেন গুগলে কর্মরত চট্টগ্রামের ছেলে অনিক সরকার।
সমাপনী পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. এম এ সাত্তার, বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-পরিচালক ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. উজ্জ্বল কুমার দেব, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন ড. তৌফিক সায়ীদ, স্মার্ট গ্রুপের ম্যানেজার মো. সাকিব, অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আদনান মান্নান।
প্রধান অতিথি ডা. সাত্তার বলেন, তরুণরা যত বেশি বিজ্ঞানমনস্ক হবে তত বেশি নতুন নতুন আবিষ্কারের সম্ভাবনা বাড়বে। আমাদের দেশের নিজস্ব প্রযুক্তি আর উদ্ভাবন প্রয়োজন। একমাত্র বিজ্ঞান চর্চার মাধ্যমেই সেটা সম্ভব।
এসময় বক্তব্য দেন হোয়াইট বোর্ড সায়েন্স ক্লাবের ডিরেক্টর ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রক্তিম বড়ুয়া এবং কো-অর্ডিনেটর মাহির আজিরাফ। ইভেন্টের বিভিন্ন পর্বের মোট ২১ জন বিজয়ীর মাঝে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। ইভেন্টে ম্যাগাজিন পার্টনার হিসেবে ছিল প্রথম আলো-বিজ্ঞান চিন্তা, ইভেন্ট পার্টনার নোভাইস বাংলাদেশ, ফটোগ্রাফিক পার্টনার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফি ক্লাব, গিফটা পার্টনার ইনসাইটস অটোমাটা এবং স্ট্রাটেজিক পার্টনার ছিল বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতি। বিজ্ঞান উৎসবে সাতান্নটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আট শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২২
এমআর/টিসি
